নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং স্কোর দেখলে অবিশ্বাসের ঘোর লেগে থাকা স্বাভাবিক। সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলা দল নিজেদের মাটিতে একশর আগে অলআউট। টি-টুয়েন্টি হলেও বিশ্বাসযোগ্য হতে পারত। কিন্তু ওয়ানডেতে এমন ব্যাটিং নেপিয়ারের ২২ গজকে অবিশ্বাসের চাদরে ঢেকে দিয়েছে। বছরের শেষে এসে অভাবনীয়, অবিশ্বাস্য জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডকে প্রথমবার বিদেশের মাটিতে সাদা বলের লড়াইয়ে হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে একবারই কেবল টেস্ট জিতেছিল টিম টাইগার্স, সেটি গত বছরের জানুয়ারিতে।
বিস্ময় উপহার দিয়ে সকাল সকালই ম্যাচ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। অনেক টাইগার সমর্থক ঘুম থেকে ওঠার আগেই বাংলাদেশের ভাগ্যে লেখা হয়ে গেছে বিস্ময় জাগানিয়া জয়। তৃতীয় ওয়ানডেতে কিউইদেরকে ৯৮ রানে অলআউট করার পর ১ উইকেট হারিয়ে ১৫.২ ওভারেই সেই রান তাড়া করে বাংলাদেশ। পায় ৯ উইকেটের বিরাট জয়।
দেশের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা ১৭ ওয়ানডে জয়ের পর হার দেখল নিউজিল্যান্ড। এই ম্যাচ জিততে পারলেই তারা ছুঁয়ে ফেলত অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বরেকর্ড।
কিউইদের আটকে রাখে বাংলাদেশের পেস আক্রমণ। ম্যাকলিন পার্কের পেস সহায়ক উইকেটে ৭ ওভারে ১৪ রানে ৩ উইকেট শিকার তানজিম হাসান সাকিব, ২২ রানে ৩ উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। সৌম্য সরকার বোলিংয়ে এসে ৩ উইকেট নেন ১৮ রানে। স্বাগতিক দলের ওপেনার উইল ইয়াং করেন সর্বোচ্চ ২৬ রান।
ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আগের ম্যাচে ১৬৯ রানের চোখ ধাঁধাঁনো ইনিংস খেলা সৌম্য ড্রেসিংরুমে ফিরে যান (রিটায়ার্ড হার্ট) চোখের সমস্যায়। পরে এনামুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্তর জুটি এগিয়ে নেয় দলকে। এনামুল শেষ পর্যন্ত না টিকলেও ঝড়ো ফিফটিতে দলের জয় সঙ্গে নিয়ে ফেরেন অধিনায়ক শান্ত।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় এটি। তাদের বিপক্ষে এত বল (২০৯টি) বাকি রেখে জয়ও আগে কখনও ধরা দেয়নি বাংলাদেশের।
রেকর্ড গড়া জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে বাংলাদেশ। ২-১ এ শেষ করেছে সিরিজ। সামনে এবার তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ। ২৭ ডিসেম্বর নেপিয়ারেই বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টা ১০ মিনিটে শুরু প্রথম টি-টুয়েন্টি।