কে বলবে তার বয়স ৪০ ছুঁইছুঁই? ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়ে যেভাবে খেলছেন তাতে লজ্জা পাবেন তরুণরাও। প্রথম দুই ম্যাচে ১৩৫, ৫০ করার পর গ্রানাডাতে ১৬২ রানের ধ্বংসাত্মক এক ইনিংস, ১১ চারের সঙ্গে যাতে ছিল ১৪টি ছক্কার মার! আফসোস যেন বাড়িয়েই চলছেন ক্যারিবীয় দানব।
ইংল্যান্ড সিরিজে দলে ডাক পেয়ে মাঠে নামার আগেই ঘোষণা দিয়েছেন গেইল, দেশের হয়ে ঘরের মাটিতে এটাই তার শেষ সিরিজ। বিশ্বকাপের পর আর খেলবেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়েও।
তখন অবশ্য কেউই আন্দাজ করতে পারেনি, কতটা বিধ্বংসী হয়ে জাতীয় দলে ফিরলেন গেইল! তার এমন রূপ দেখে স্বাভাবিকভাবেই একটা দাবি উঠেছে, অবসরের সিদ্ধান্তটা কী আরো একবার বিবেচনা করবেন ‘ইউনিভার্সাল বস’!
গ্রানাডায় ৯৭ বলে ১৬২ রানের ইনিংসটিতে ১৪টিতে ছক্কা মেরেছেন গেইল। তিন ম্যাচ মিলিয়ে যার পরিমাণ ৩০টি। এই ম্যাচেই গড়েছেন আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৫০০ ছক্কার রেকর্ড, ৪৭৬ ছক্কা নিয়ে যেখানে দ্বিতীয় স্থানে শহীদ আফ্রিদি। ওয়ানডের এক ইনিংসে তার সর্বাদিক ১১ ছক্কার রেকর্ড এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসেই ভেঙে ছিলেন জস বাটলার। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪টি ছক্কা মেরে সেই রেকর্ড ভেঙে দেন টি-টুয়েন্টির বস। ব্রায়ান লারার পর দ্বিতীয় ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০ হাজার রানের মালিকের নামও গেইল।
গেইলও বুঝছেন আক্ষেপটা বাড়ছে। তাই নিজেও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশ্বকাপের পর থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা,‘আমার মনে হয় আমি এতদিন যত ইনিংস খেলেছি তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিনোদন দিয়েছে এটাই। ক্রিকেটের এটাই মজা। আমি প্রচুর টি-টুয়েন্টি খেলি যে কারণে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ফেরা খুব কঠিন। ৫০ ওভারে ক্রিকেটে শরীরও খুব একটা সায় দেয় না। ’
‘আমাকে শরীর নিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে আপনারা আসল গেইলকে হয়তো দেখতে পাবেন। যেকোনো বিষয়ই খুব দ্রুত পাল্টায়। আশা করি আমি আমার দেহের কিছুটা পরিবর্তন করতে পারব। দেখা যাক এরপর কী হয়!’
বুধবার গেইলের খেলা নিয়ে যেমন আফসোস আছে ক্যারিবীয় দর্শকদের তেমনি আফসোস থাকতে পারে খেলার ফল নিয়েও। ইংল্যান্ডের ৪১৮ রান তাড়া করতে নেমে গেইলের দানবীয় এক ইনিংস সত্ত্বেও ৩৮৯ রানে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে খেলার ফল ছাপিয়ে যে ম্যাচে রেকর্ড ৪৬টি ছক্কা হয়েছে তাতে সব আক্ষেপ ধুয়ে-মুছে যাওয়ার কথা দর্শকদের।