রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া টাকা ফেরত পেতে নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক এবং ফিলিপিন্সের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক উর্ধতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চুরি যাওয়া টাকা ফেরত আনতে গভর্নর ফজলে কবীর নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রধান এবং ফিলিপিন্সের ব্যাংক ও মানি লন্ডারিং কর্তৃপক্ষের প্রধানদের বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন।
নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের কাছে পাঠানো চিঠিতে রিজার্ভ চুরির ঘটনায় মার্কিন ব্যাংকটির কোনো ত্রুটি ছিলো কিনা কিংবা ব্যাংকের কারও কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিলো কিনা তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর।
ফেড ও ফিলিপিন্সে চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির কাছে আলাদা চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নিয়োগ পাওয়া গভর্নর। চিঠিতে টাকা ফেরত আনার ব্যাপারে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সঙ্গে সার্বক্ষণিক তৎপরতার চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মার্কিন ব্যাংকটির বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়া না নেয়া সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ওপর নির্ভর করছে। অর্থমন্ত্রীর এই বিবৃতির পর ফেড এবং ফিলিপিন্সে চিঠি পাঠানোর খবর প্রকাশ করলো রয়টার্স।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কের বাংলাদেশ ব্যাংকের একাউন্ট থেকে ১০১ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ চুরি যায়। এ নিয়ে দেশ-বিদেশে তোলপাড় শুরু হয়। পদত্যাগ করেন তৎকালীন গভর্নর আতিউর রহমান।