গত কয়েক মাসে তাদের স্কোরকার্ড দেখলে আর চমকে উঠছেন না সমর্থকরা। হারা প্রায় অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। রোববার রায়ো ভায়েকানোর বিরুদ্ধেও ০-১ গোলে হেরেছে লস ব্লাঙ্কোসরা।
এই মৌসুমে লা লিগায় দশম হার রিয়ালের। ৩৫ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৬৫। চার নম্বরে থাকা গেটাফে (৫৫পয়েন্ট) অনেকটা পেছনে থাকায় তিননম্বর পজিশন ধরে রাখতে পারবে জিনেদিন জিদানের দল।
হারের লজ্জাই শুধু নয়, রিয়াল মাদ্রিদে শুরু হয়ে গেছে দলবদলের নানা জল্পনা। এমনকী দলের মধ্যে ঝামেলাও।
গ্যারেথ বেলই প্রথম ঝামেলা পাকিয়েছেন। রায়ো ভায়েকানোর মাঠে ম্যাচ শেষ হওয়ার পর আর টিম বাসে ওঠেননি বেল। সোজা চলে গিয়েছিলেন বিমানবন্দরে। বেল নাকি টিমবাসে না ফিরে আলাদাভাবে বিমানবন্দরে যাওয়ার অনুমতি নিয়ে রেখেছিলেন। সেখানে ব্যক্তিগত জেট অপেক্ষায় ছিল বেলের জন্য। কোচ জিদান আড়াই দিনের ছুটি দিয়েছেন ফুটবলারদের।
এমনিতেই বেলকে রাখা হবে কি না তা নিয়ে জল্পনা ছিল। এই ঘটনার পর বেলকে আগামী মৌসুমে রিয়ালে দেখার সম্ভাবনা আরও ক্ষীণ। স্পেনের মিডিয়ায় খবর, বেলকে হয় ছেড়ে দেয়া হবে, না হলে ধারে অন্য ক্লাবে পাঠানো হবে। জিদান ম্যাচের পর বলেই দিয়েছেন, ‘আমি জানি না, বেল আদৌ ফোকাস্ড আছে কি না।’
আগামী মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের অনেক ফুটবলারকেই হয়তো ক্লাব ছাড়তে দেখা যাবে। সেই তালিকায় নাম আছে টনি ক্রুজ, লুকা মদ্রিচেরও। ব্যালন ডি’অর জয়ী মদ্রিচ আগে জিদানের পরিকল্পনায় ছিলেন ভালোভাবেই। কিন্তু এখন আর পরিস্থিতি সে রকম নেই।
মদ্রিচও নাকি রিয়ালে আর মানিয়ে নিতে পারছেন না। রিয়াল তাই মাঝমাঠের শক্তি বাড়াতে ঝুঁকছে পল পগবার দিকে। এডেন হ্যাজার্ডের দিকেও নজর আছে রিয়ালের। সব মিলিয়ে নতুন চেহারার রিয়ালকেই হয়তো দেখা যাবে পরের মৌসুমে।