চট্টগ্রাম থেকে: পাকিস্তান দলের ওপেনিং জুটি যেখানে বিচ্ছিন্নই করা যাচ্ছে না সেখানে বারবার ধুঁকছে বাংলাদেশের টপঅর্ডার। দাঁড়াতেই পারছেন না দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও সাইফ হাসান।
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৩ রানে পড়ে যায় ৫ উইকেট। ওপেনাররা দ্রুত সাজঘরে ফেরায় নতুন বলের সামনে পড়তে হচ্ছে মিডলঅর্ডার ব্যাটারদের। বাড়ছে চাপ।
সাদমান-সাইফের ব্যর্থতার কারণ হিসেবে বাংলাদেশের হেড কোচ সামনে আনলেন অনভিজ্ঞতাকে। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ দলে তৃতীয় ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। নবীন এ ব্যাটার আছেন অভিষেকের অপেক্ষায়।
ডমিঙ্গোর হাতে নেই অভিজ্ঞ ওপেনার। পরের টেস্টেও তাকে তাকিয়ে থাকতে হবে অনভিজ্ঞদের দিকেই। উপায় নেই, হতাশা উপহার দিলেও রাখতে হচ্ছে ভরসা।
টেস্টে ব্যর্থতার পেছনে অনভিজ্ঞতা যদি বড় কারণ হয়, তাহলে প্রশ্ন উঠতে পারে চোটের কারণে তামিম ইকবাল না থাকার পরও কেন ইমরুল কায়েসদের মতো কাউকে ডাকা হলে না দলে!
২২ গজে শুরুর ব্যাটারদের বিবর্ণ চেহারা দেখে হতাশ ডমিঙ্গো। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে সংবাদমাধ্যমকে বললেন, ‘এটা হতাশার। যে ধরনের উইকেটে খেলা হচ্ছে তাতে এমন ব্যাটিং দেখে আমরা খুশি না।’
‘সাদমান তার সবশেষ টেস্টে সেঞ্চুরি করেছে পাঁচ-ছয় মাস আগে। নতুন বলের সামনে চাপের মুখে আমরা ভেঙে পড়ছি। ভালো বোলিং আক্রমণের সামনে আমরা খেলছি। সাইফ সম্ভবত তার ষষ্ঠ টেস্ট খেলছে। সে অনভিজ্ঞ। সাদমানের মনে হয় নয় নম্বর টেস্ট। হাই-কোয়ালিটি বোলারদের সামনে এটা কঠিন। তাই টেস্টের জন্য তাদের অনেক কাজ করতে হবে।’