ব্রিস্টলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মঙ্গলবারের ম্যাচটি হতে পারে সাকিব আল হাসানের জন্য আরেকটি মাইলফলকের মঞ্চ। ব্যাট হাতে বিশ্বকাপে যেরকম ফর্মে আছেন বাঁহাতি তারকা, তাতে বন্ধু তামিম ইকবালের ক্লাবে নাম লেখানো তার জন্য কেবল সময়ের ব্যাপার। দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ৬ হাজারি ক্লাবে প্রবেশের জন্য বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের অপেক্ষাটা যে মাত্র ২৩ রানের!
বিশ্বকাপে খেলতে নামার আগে ৬ হাজার থেকে ২৮৩ রান দূরে ছিলেন সাকিব। প্রথম তিন ম্যাচে দুই ফিফটি ও এক শতকে ব্যবধানটা নামিয়ে এনেছেন ২৩ রানে। ২৬০ রান করে আপাতত চলতি আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার শীর্ষে আছেন সাকিব!
২০১ ওয়ানডেতে সাকিবের রান ৫৯৭৭। তার চেয়ে পাঁচ ম্যাচ কম খেলে বাংলাদেশিদের মধ্যে শীর্ষে তামিম। বাঁহাতি ওপেনারের রান ৬৬৯৫। তিনে আছেন মুশফিকুর রহিম। উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ২০৮ ম্যাচ খেলে করেছেন ৫৬৯৯ রান। চারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩৮৫১ রান নিয়ে।
ইংল্যান্ড আসর যেন হয়ে উঠেছে সাকিবের জন্য একের পর এক উপলক্ষ পূরণের মঞ্চ। প্রথম ম্যাচে এইডেন মার্করামের উইকেট নিয়ে পঞ্চম অলরাউন্ডার হিসেবে ছুঁয়েছেন ২৫০ উইকেট ও পাঁচ হাজার রানের ডাবলসের কীর্তি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরের ম্যাচেই খেলেছেন নিজের ২০০তম ওয়ানডে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২১ রানের ইনিংসটি তাকে দিয়েছে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি পাওয়ার মর্যাদা। এবার সামনে আড়াইশ উইকেট ও ছয় হাজারির ডাবলসের অভিজাত ক্লাবের ছোট্ট তালিকা।