খুলনা টাইটানসের ব্যাটসম্যানদের বেঁধে রেখে লক্ষ্যটা নাগালে রেখেছিলেন বোলাররা। বাকি কাজ সারতে বেগ পেতে হয়নি রাজশাহী কিংসের ব্যাটসম্যানদের। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের দৃঢ়তাপূর্ণ অর্ধশতকে ১১৮ রানের পথ রাজশাহী পাড়ি দিয়েছে ৭ বল হাতে রেখে, ৩ উইকেট খরচায়।
বুধবার রাতের ম্যাচে রাজশাহী পেয়েছে ৭ উইকেটের জয়। ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে হেরে বিপিএল শুরু করা দলটি নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াল দারুণভাবে।
ব্যাটিংঅর্ডারে অদল-বদল করে সফল কিংস অধিনায়ক মিরাজ। চমকে দিয়ে তিনে নামা এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান খেলেন ৫১ রানের ইনিংস। ৪৫ বল মোকাবেলার ক্যাপ্টেন্স-নকে ছিল ৬টি চার ও একটি ছয়ের মার। মুমিনুল হকের ৪৪ রানের ইনিংসটিও ছিল বেশ কার্যকরী।
ওপেনিংয়ে মোহাম্মদ হাফিজের সঙ্গী হন মুমিনুল। তাইজুল ইসলামের বলে আরিফুল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে হাফিজ (৬) যখন সাজঘরে ফেরেন দলের রান তখন ১.২ ওভারে ১১। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন অধিনায়ক মিরাজ।
দ্বিতীয় উইকেটে মুমিনুল-মিরাজের ৮৯ রানের জুটিই নিয়ে কিংসদের নিয়ে যায় জয়ের কাছে। তবে লক্ষ্যে নোঙর করার আগেই মুমিনুল ও মিরাজ অল্প সময়ের ব্যবধানে সাজঘরে ফিরলে জয় পেতে অপেক্ষা বাড়ে পদ্মাপাড়ের দলটির। শেষ পর্যন্ত ১৮.৫ ওভারে বন্দরে পৌঁছায় তারা।
চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা সৌম্য সরকার ১১ ও লরি ইভান্স ১ রানে অপরাজিত থাকেন।
টি-টুয়েন্টি সংস্করণে মিরাজের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস। বুধবার রাতের ম্যাচে সেটি ছাড়িয়ে যান আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে। অধিনায়কের ভার যে সহজেই বইতে পারছেন তারই নমুনা ৫১ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসটি।
মিরপুরে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরুর পরও লড়াই করার পুঁজি পায়নি খুলনা টাইটানস। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি মোস্তাফিজুর রহমান ও ইসরু উদানার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে।
স্টার্লিং ১৬, জুনায়েদ ২৩, ডেভিড মালান ২২, ডেভিড ওয়াইজ ১৪ রান করলে তিন অঙ্ক পেরোয় টাইটানস।
৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন উদানা। কোটা পূরণ করা মোস্তাফিজ ১৮ রানে নেন ২ উইকেট।