আবু সালে মো. ফাত্তাহ, রাজশাহী প্রতিনিধি: জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে রাজশাহীর তানোরের ভাঙ্গাপাড়া এলাকার এক বাড়ি থেকে আটক নব্য জেএমবি ও পরিবারের সদস্যরা কিছুটা অদ্ভুত ধরনের ধর্মীয় রীতিতে অভ্যস্ত বলে জানিয়েছে এলাকাবাসীরা।
আটক ৩ নব্য জেএমবি সদস্যসহ ১২ জন আটকের ঘটনার পর পুরো এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, অভিযান চালানো ওই বাড়ির অধিবাসীরা অন্যদের সাথে খুব একটা মিশত না। তারা নিজেরা নিজেরাই থাকত সবসময়।
তারা নিয়মিত নামায-কালাম পড়ত উল্লেখ করে প্রতিবেশীরা জানায়, ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি তারা সবসময় একা পালন করত। এমনকি ঈদের নামাযও তারা বাকি গ্রামবাসীর সঙ্গে জামাতে পড়তে যেত না বলে জানিয়েছে আশপাশের অধিবাসীরা। ওই বাড়ির লোকজন নিজেরা নিজেরাই এতদিন ঈদের নামায পড়ে এসেছে।
তবে এছাড়া তাদের আচরণে অন্য কোনো খারাপ বৈশিষ্ট্য দেখা যায়নি বলেও উল্লেখ করে স্থানীয় জনগণ।
আটক ১২ জনের মধ্যে ৪ শিশু ও ৪ নারী। তারা আপাতত পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
অভিযানে একই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে ২টি সুইসাইড ভেস্ট, একটি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন। ওই বাড়িতে আরও গোলাবারুদ থাকতে পারে এমন আশঙ্কায় পুলিশ বাড়িটি ঘিরে রেখেছে।
আটককৃতরা নব্য জেএমবির সদস্যরা হলো ইব্রাহিম হোসেন, ইসরাফিল হোসেন ও রবিউল ইসলাম। এদের মধ্যে ইব্রাহীম ও ইসরাফিল দু’জন সহোদর।
রোববার গভীর রাতে বগুড়া গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে রাজশাহীর তানোর থানা পুলিশের সহযোগিতায় ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানে ওই তিন জঙ্গি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা আটক এবং অস্ত্র উদ্ধার হয়।
রাজশাহী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সুমিত চৌধুরী জানান, রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও রাজশাহী জেলা পুলিশের এ যৌথ অভিযান শুরু হয়। বাড়িটিতে জঙ্গি আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে অভিযান চালানো হয়। পরে ওই বাড়ি থেকে তিন জঙ্গিকে আটকের পর তাদের কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি, ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও বাড়িতে আরও গোলাবারুদ আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করতে ঢাকা থেকে বোমা বিশেষজ্ঞদের আনানো হচ্ছে বলে জানান ডিএসবি। তারা এলে ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হবে। এবং এরপরই পুলিশের পক্ষ থেকে ব্রিফিং করা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
তবে বাড়িতে আর কোনো জঙ্গি নেই বলেও ধারণা করছে পুলিশ।