হেডিংলি টেস্টের প্রথম দিনটা ছিল আর্চারময়। ক্যারিবিয়ান বংশোদ্ভুত পেসারের বিধ্বংসী আগুনের সামনে ১৭৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। আর দ্বিতীয় দিনের প্রথম আড়াই ঘণ্টা ছিল হ্যাজেলউডের নাম। ইংল্যান্ড ইনিংসের শুরুতেই প্রত্যাঘাত করেন অজি বোলাররা। শুক্রবার দিনের শুরু থেকেই প্যাভিলিয়নে ফেরার মিছিলে নাম লেখান ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ৬৭ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড ইনিংস।
১৯৪৮ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এটাই সর্বনিম্ন স্কোর ইংল্যান্ডের। পাশাপাশি টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এটি ইংল্যান্ড দ্বাদশ সর্বনিম্ন স্কোর।
মাত্র ৫৪ রানে ইংল্যান্ডের ৬ উইকেট তুলে নিয়ে লাঞ্চে যায় অস্ট্রেলিয়া। লাঞ্চ বিরতির পরের বলেই ক্রিস ওকসকে সাজঘরের রাস্তা দেখান প্যাট কামিন্স। পরের ওভারেই জোস বাটলারকে ফেরান হ্যাজেলউড। অর্থাৎ লাঞ্চের পর স্কোরবোর্ডে মাত্র ২ রান যোগ করে দু’ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এরপর আর্চার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করার চেষ্টা করলেও সফল হননি। কামিন্সের বাউন্সারে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন আর্চার। অর্থাৎ ৬৬ রানে ৯ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
শেষ উইকেটে ক্রিস ব্রড ও জ্যাক লিচের লড়াইও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৬৭ রানে শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ড ইনিংস। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ ৭১ বছরে সর্বনিম্ন স্কোর ইংল্যান্ডের।
বৃহস্পতিবার হেডিলিংর প্রাণবন্ত ২২ গজে ইংলিশ বোলারদের বিরুদ্ধে লড়াইটা ছিল স্মিথহীন অস্ট্রেলিয়ার কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জ। প্রথম দু’টি টেস্টে মিডল অর্ডারে ভরসা জোগানো সাবেক অধিনায়ককে ছাড়া স্বাগতিক পেসারদের বিরুদ্ধে অসহায় আত্মসমপর্ণ করেন অজি ব্যাটসম্যানরা। ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও স্মিথের পরিবর্ত লাবুশেনের ব্যাটিং খানিক ভরসা জোগালেও তৃতীয় টেস্টের প্রথমদিন হেডিংলিতে আধিপত্য দেখিয়েছিলেন আর্চার।
দ্বিতীয় ম্যাচেই টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট সংগ্রহ করে নেন কৃষ্ণাঙ্গ এই বোলার। আর্চারের ৬ উইকেটে তৃতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস শেষ হয় মাত্র ১৭৯ রানে।
শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের প্রথম আড়াই ঘণ্টা হেডিংলিতে রাাজ করেন অজি পেসার জোস হ্যাজেলউড। ১২.৫ ওভার মাত্র ৩০ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট তুলে নেন তিনি। তিনটি উইকেট নেন কামিন্স ও দু’টি উইকেট নেন প্যাটিনসন।
ইংল্যান্ড ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোর জো ডেনলির ১২ রান। মাত্র একজন ইংলিশ ব্যাটসম্যানই দু’ অঙ্কের রানে পৌঁছান।
বোলারদের দাপটে অল্প স্কোর করেও প্রথম ইনিংসে ১১২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটে নামে অস্ট্রেলিয়া। খুব একটা স্বস্তিতে নেই তারাও। এরই মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে ফেলেছে সফরকারীরা। তবে টিম পেইনের দলের জন্য সুখবর, হেডিংলির পেসবান্ধব উত্তপ্ত কড়াইতে লিড আড়াইশ ছুঁয়ে ইংল্যান্ডের সামনে বড় বোঝা চাপানোর পথে রয়েছে।