Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

অং সান সু চি’র ৪ বছরের কারাদণ্ড

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি’কে ৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। সরকারবিরোধী উস্কানি ও করোনার বিধিনিষেধ ভঙ্গের অভিযোগের মামলায় তাকে এ দণ্ড দেয়া হয়।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তবে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে স্থাপিত আদালত এমন রায় দিলেও সু চি তার বিরুদ্ধে আনা সবগুলো অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন: এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেয়ার জন্য সামরিক জান্তার পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ আনা হয়েছে।

অন্যদিকে সামরিক জান্তা বলছে: অং সান সু চি’র বিচার হচ্ছে নিরপেক্ষ আদালতে। তার প্রশাসন নিয়োগ দিয়েছিল এমন একজন বিচারক এ মামলা পরিচালনা করছেন।

আজ সোমবার মামলার রায় দেয়ার সময় আদালতে কোনো সংবাদ মাধ্যমকে পেশাগত দায়িত্ব পালনের অনুমোদন দেয়া হয়নি। সু চি’র আইনজীবীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিচার নিয়ে কোনো মন্তব্য করতেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অং সান সু চি’র বিরুদ্ধে সেনা শাসকরা প্রায় এক ডজন মামলা দায়ের করেছে। সেসব মামলায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন ও টেলিযোগাযোগ আইন লংঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব অভিযোগে তিনি যদি অভিযুক্ত হন, তাহলে তার একশ’ বছরেরও বেশি সময়ের কারাদণ্ড হতে পারে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের প্রধান অং সান সু চিকে আটক করে দেশটির সেনাবাহিনী। গত বছরের নভেম্বরে নির্বাচনে অং সান সু চির এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলেও দেশটির সেনাবাহিনী নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলে।

এর আগে ২০১১ সাল পর্যন্ত সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণেই ছিল মিয়ানমার। তখন প্রায় ১৫ বছর গৃহবন্দী জীবন কাটিয়েছেন সু চি।

Exit mobile version