দীর্ঘ ৬৫ বছর পর ঐতিহাসিক কোরিয়া যুদ্ধে নিহত মার্কিন সেনাদের দেহাবশেষ সসম্মানে ফিরিয়ে দিচ্ছে নর্থ কোরিয়া। গত মাসে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ ব্যাপারে এক মত হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নর্থ কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।
এর মধ্য দিয়ে পিইংইয়ং এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক খানিকটা তরল হলো বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে বিবিসি সূত্রে জানা গেছে , ওসান বিমান ঘাটি থেকে ছোট কাঠের কফিনে করে দেহাবশেষগুলোকে আমেরিকার মাটিতে নেয়ার সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সৈন্যদের কফিনে ছিল জাতিসংঘের পতাকা খচিত। প্রথম দফায় ৫০ জন সৈন্যের দেহ প্রত্যাবর্তন করা হবে।
মার্কিন এক সেনা কর্মকর্তা বলেন, এ যেন এক আবেগের মুহূর্ত । অবশেষে তাদের দেহাবশেষ তাদের নিজের দেশের মাটিতে যাচ্ছে।
শুক্রবার এই যুদ্ধ বিরতির ৬৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেহাবশেষ প্রত্যাবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এতোদিন ধরে যুদ্ধে নিহত সৈন্যদের স্বজনরা তাদের প্রিয় মানুষটির দেহাবশেষ পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করেছে।
ঐতিহাসিক কোরিয়া যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ১৯৫০ সালে। স্নায়ু যুদ্ধকালীন সময়ে এটিই ছিল প্রথম কোন যুদ্ধ। তিন বছর ধরে চলা এ যুদ্ধে প্রায় ৩৫ হাজার মার্কিন সৈন্য নিহত হয়।