আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে সম্পূর্ণ রুটের ট্রায়াল রান শেষে মেট্টো রুট-৬ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করবে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের মেট্টোরেলের সাইট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন: ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসন ও গণপরিবহনের সক্ষমতা বাড়াতে ২০৩০ সালের মধ্যে ৬টি মেট্টো রুট সমন্বয়ে ১টি শক্তিশালী মেট্টোরেল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
তিনি বলেন: চলমান মেট্টোরেল রুট-৬’র কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ২০১৯ সালের মধ্যে আগারগাঁও পর্যন্ত এবং ২০২০ সালের মধ্যে মতিঝিল পর্যন্ত অংশের পূর্ত কাজ শেষ হবে। তিনি আরো বলেন: আমরা আশা করছি ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে সম্পূর্ণ রুটের ট্রায়াল রান শেষে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করবে মেট্টো রুট-৬।
মেট্রোরেল রুট-১ এর কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। প্রায় ৩১ কি.মি. দীর্ঘ এ রুটের থাকছে ২টি অংশ। প্রথম অংশ বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত। দ্বিতীয় অংশ পূর্বাচল রুট যা নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল ডিপো পর্যন্ত। বিমানবন্দর রুটে ২০ কি.মি. বাংলাদেশের প্রথম পাতাল রেল বা আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রোরেল নির্মিত হতে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন: ইতোমধ্যে মেট্রো রুট-১ এর সম্ভাব্যতা যাচাইসহ বিভিন্ন সার্ভে সম্পন্ন হয়েছে। মূল নকশা প্রণয়নের কাজও শেষ প্রান্তে। এ রুটের নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২৬ সালের মধ্যে। এ রুটের সম্ভাব্য ব্যয় প্রায় ৫৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ১টি অংশের বা প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা লোন এগ্রিমেন্ট আজ জাপান সফররত প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে স্বাক্ষরের কথা রয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন: মহানগরীর পূর্ব থেকে পশ্চিমে সংযোগ বাড়াতে মেট্রোরেল রুট-৫ নির্মাণেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটি হবে হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত প্রায় ২০ কি.মি. দীর্ঘ। সম্ভাব্য ব্যয় হবে প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা। এ রুটে প্রায় ১৪ কি.মি. হবে পাতাল রেল। তিনি আরো বলেন, রুট-৫ এর নর্দান অংশের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। রুট-৫ রে সাউদার্ন অংশ হবে গাবতলী থেকে দশেরকান্দি পর্যন্ত যার প্রায় ১৩ কি.মি. হবে পাতাল রেল।