করোনা মহামারীর কারণে ২০২০ সালের বেশিরভাগ সময় বেকার বসেছিলেন ক্রিকেটাররা। আস্তে আস্তে খেলায় ফিরেছে দলগুলো। দর্শকহীনভাবে শুরু হয়ে গেছে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট। অন্যতম ব্যস্ত দল ভারতের খেলা শুরু হবে অস্ট্রেলিয়া সফর দিয়ে, ২৭ নভেম্বর থেকে।
এরপর আগামী বছর আর নিঃশ্বাস ফেলারও সময় পাবেন না বিরাট কোহলিরা। সূচি বলছে, ২০২১ সালের ১২ মাসই ক্রিকেট মাঠে কাটাতে হবে ভারতকে।
ঠাসা সূচি নিয়ে অতীতে আপত্তি থাকলেও ২০২১ সালে এমন কোনো অভিযোগ শুনতে রাজি নয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। ক্রিকেটারদের উপর চাপ পড়বে জেনেও আগামী বছর ব্যস্ত সূচি তৈরি করেছে বিসিসিআই।
২০২১ সালে মোট ১৪টি টেস্ট, ১৬টি ওয়ানডে ও ২৩টি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলবে ভারত। জুন মাসে রয়েছে এশিয়া কাপ টি-টুয়েন্টি এবং অক্টোবরে আইসিসি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপও।

ক্রীড়াসূচি এখনও ঘোষিত না হলেও খবর, মহামারীর জন্য যেসব সিরিজ বাতিল হয়েছে, তা আয়োজন করবে বিসিসিআই। সেজন্য একটানা খেলে যেতে হবে ভারতকে।
বিসিসিআইয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ক্রিকেটারদের সমস্যা হবে জানি। কিন্তু আমাদের প্রতিশ্রুতি পালন করতে হবে। ক্রিকেটাররা যাতে দেশের হয়ে খেলার আগে পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায়, তা আমরা নিশ্চিত করব। রোটেশন পদ্ধতিতে খেলানো হবে দলকে।’
নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি খেলবেন কোহলিরা। এরইমধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে।
অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে জানুয়ারিতে দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা ভারতের। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি মিলিয়ে সেই সিরিজ শেষ হবে মার্চে। ইংল্যান্ড ফিরে গেলে মার্চে শুরু আইপিএল। মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত টুর্নামেন্ট চলার কথা। আইপিএল শেষ হলে শ্রীলঙ্কায় যাবে ভারত। সেখানে সীমিত ওভারের সিরিজের পাশাপাশি খেলবে এশিয়া কাপ।
জুলাইয়ে ভারত যাবে জিম্বাবুয়েতে। সেখান থেকে ইংল্যান্ডে গিয়ে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবেন কোহলিরা। শেষ হবে সেপ্টেম্বরে। দেশে ফিরে অক্টোবরে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি সিরিজে সাউথ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে দলটি।
তারপরই শুরু ২০২০ সালে স্থগিত হওয়া বিশ্বকাপ। বছর শেষে, ডিসেম্বরে সাউথ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার কথা টিম ইন্ডিয়ার। ক্রিকেটাররা তাই কতখানি বিশ্রাম পাবেন সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।