গত বছরও যখন দাবানলের আগুনে নাকাল অস্ট্রেলিয়া, তখনও ঠিক সময়েই কোর্টে বল গড়িয়েছে। বাতিল হয়েছে উইম্বলডন, পিছিয়েছে ফ্রেঞ্চ আর ইউএস ওপেন। তবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন নিয়ে কোনো কথাই উঠেনি। এমনকি বিশ্বযুদ্ধও যাকে থামাতে পারেনি, তাই এবার করে দেখালো করোনাভাইরাস। ১০০ বছরের মধ্যে এই প্রথম পিছিয়ে গেল বছরের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম- অস্ট্রেলিয়ান ওপেন।
প্রতি জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন দিয়ে টেনিস খেলোয়াড়দের বছর শুরু হলেও ২০২১ সালে সেটা হচ্ছে না। অস্ট্রেলিয়ায় করোনার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ।
শনিবার এক বিবৃতিতে টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর ক্রেইগ টাইলি বলেছেন, ‘এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন অন্যান্যবারের তুলনায় আলাদা হবে। ১০০ বছরের বেশি সময়ের পর প্রথমবারের জন্য টুর্নামেন্টটি পিছিয়ে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে। তবে এটুকু বলতে পারি, এবার এখান থেকে দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন প্রত্যেক খেলোয়াড়।’
১০ থেকে ১৩ জানুয়ারি দোহা এবং দুবাইয়ে টুর্নামেন্টের কোয়ালিফাইয়িং রাউন্ড খেলা হবে। ১৫ জানুয়ারি থেকে সমস্ত খেলোয়াড়কে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছে দু’সপ্তাহের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তারপর ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে মেলবোর্নে শুরু হবে টুর্নামেন্টটি। এই সময় হোটেলবন্দি থাকলেও খেলোয়াড়রা অনুশীলনের জন্য আলাদা আলাদা সময় পাবেন।

অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিলো টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ। সিডনিতে সংক্রমণের নতুন ঢেউ লাগার পরও টুর্নামেন্ট আয়োজনে বদ্ধপরিকর তারা।
