
ভারতের ওয়াইল্ডলাইফ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ছয় সপ্তাহ ধরে চলা অভিযান শেষে অবশেষে তারা মানুষ খেকো বাঘটিকে মেরে ফেলেছেন। না মেরে কোনভাবেই তাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিলেন না তারা।
হেলিকপ্টার, ড্রোন ব্যবহারসহ নানা পদ্ধতি ব্যবহার করে বাঘটির অবস্থান নির্ণয় করা হয়। এই প্রথম একটি বাঘকে নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যবহার করা হয় এতসব ব্যয়বহুল প্রযুক্তি।
ভারতের উত্তরখণ্ড রাজ্যে বাঘটি দুই জনকে হত্যা করেছে এবং অন্তত পাঁচজনকে আহত করেছে।
চাষাবাদের এলাকাগুলোতে এররকম ঘটনা ঘটতে শুরু হওয়ায়য় কৃষকরা ভয়ে ভুগছিলেন। মাঠের ফসল কাটতে গেলেও তারা ভয়ে ছিলেন কখন না বাঘ আক্রমণ করে বসে। ৫০টি ট্র্যাপ ক্যামেরার সহায়তা নিয়ে মঙ্গলবার সকালে বাঘটিকে হত্যা করা সম্ভব হয়।

ভারতেই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বাঘের বাস। উত্তরখণ্ডের ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, তারা বেশ কয়েকবার বাঘটিকে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে পরে বাধ্য হয়ে বাঘটিকে মেরে ফেলে। বাঘটি আরো বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলো।
বাঘের মৃত্যু রীতিমতো উদযাপন করে এলাকাবাসী।