
জফরা আর্চারের দ্রুতগতির বল মাথায় লেগে স্টিভেন স্মিথ যখন মাটিয়ে লুটিয়ে পড়লেন, ভয়ের একটা চোরাস্রোতই বয়ে গিয়েছিল। মাঠও ছাড়তে হয় অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং ভরসাকে। পরে ফিরেছেন। ৮ রানের জন্য টানা তৃতীয় সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে আউট হয়েছেন। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টে তার দৃঢ়তায় ম্যাচ ভালোভাবেই ধরে রেখেছে অজিরা।
বৃষ্টি প্রথম দিনের পুরোটা খেয়ে দেয়ার পর তৃতীয় দিনেরও তিনের দুইভাগ ভেসে নিয়েছে। প্রথম ইনিংসে ২৫৮ করে অলআউট হয়েছে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়া জবাবে গুটিয়ে যাওয়ার আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে করেছে ২৫০ রান।
দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে স্বাগতিকরা ৪ উইকেটে ৯৬ রান তুলে চতুর্থ দিন শেষ করেছে। তাদের লিড হয়ে গেছে ১০৪। শেষদিনে ম্যাচের অবধারিত পরিণতি ড্র এটা যেমন বলা যাচ্ছে না, আবার উড়িয়েও দেয়া যাচ্ছে না! রোমাঞ্চ তাই থাকছেই রোববারের জন্য।
লর্ডসে তার আগে শনিবার ছিল স্মিথের লড়াই। খাজার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬-এর পর তার ৯২ রান। ১৪ চারে ১৬১ বলে খেলেছেন। আগের টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরির পর আরেকটি শতকের খুব কাছে থেকে ফিরেছেন। তার আগে ফিরেছেন ফিল-হিউজ শঙ্কার মেঘ কাটিয়ে।

অজি ইনিংসের ৭৭তম ওভার। দ্বিতীয় বলে আর্চারের বাউন্সার। বল যেয়ে আঘাত হানে স্মিথের বাঁ-কানের নিচ ও ঘাড়ের মাঝ অংশে। আঘাত পেয়ে উইকেটে লুটিয়ে পড়েন এ ডানহাতি। চিকিৎসক ছুটে এসে পরীক্ষা করে নিয়ে যান মাঠের বাইরে। স্মিথ তখন ৮০ রানে।
পৌনে একঘণ্টার মতো বাইরে কাটিয়ে আবার মাঠে ফিরে স্বস্তিও ফেরান স্মিথ। খুব বেশি রান অবশ্য যোগ করতে পারেননি পরে, ৮০-এর সঙ্গে ১২ যোগ করে আউট হন। মাথায় পাওয়া আঘাতে আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরেছিল কিনা বোঝা না গেলেও একটু নড়বড়েই মনে হচ্ছিল দ্বিতীয় ধাপে। দিনের শেষ পর্যন্ত তার বড় ঝুঁকি থাকার মতো কোনো কথা জানায়নি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। স্মিথের লড়াকু ইনিংসটায় তাই ম্যাচের সাথে সাথে মনেরও স্বস্তির ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য।