Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন কেন্দ্র খোলার দাবি ভ্রমণ গ্রুপগুলোর

স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দিতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে ফেসবুকে লিখে যাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভিত্তিক ভ্রমণ গ্রুপগুলো।  তারা তাদের দাবির পক্ষে যুক্তি দিয়ে লিখে ফেসবুকে তুলে ধরেছেন। 

করোনা পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে পর্যটন কেন্দ্রগুলো। এই অবস্থায় বিভিন্ন গ্রুপগুলোর কর্মকাণ্ড একেবারে বন্ধ রয়েছে। গ্রুপের এডমিন ও উদ্যোক্তারা তাদের দাবির কথা ফেসবুকে প্রকাশের পাশাপাশি মানববন্ধনের মত কর্মসূচির কথাও ভাবছেন।

ভ্রমণ গ্রুপ টিজিবি’র ইমরানুল আলম লিখেছেন, দেশের ৪০ লাখ মানুষ পর্যটন এর সাথে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে জড়িত এবং পর্যটন বোর্ডের তথ্যমতে প্রায় দেড় কোটি মানুষের আহার আসে এই সেক্টর থেকে।  তার মধ্যে আমি একজন, আমার পরিবারের আছে বেশ কয়েকজন।  বিগত দিনে ৭ মাস এবং বর্তমানে ৪ মাস ধরে পর্যটন পুরোপুরি বন্ধ যেখানে দেশের অন্য প্রায় সকল সেক্টরই খোলা রয়েছে। আমাদেরও বাঁচার অধিকার আছে নিশ্চয়ই।  আর বাঁচতে হলে অর্থেরও প্রয়োজন! পর্যটন বন্ধ মানে শুধুই আয় বন্ধ, খরচ বন্ধ না। 

এক্সট্রিম ট্রেকার অব বাংলাদেশের এডমিন সেতু দাশ করোনাকালীন তাদের কষ্টের তুলে ধরে লিখেছেন, এতো কিছুর ভেতরে কোন কিছু কি বন্ধ রাখা হয়েছে? ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ করা হয়েছে? নিউমার্কেটে প্রতিদিন কি পরিমাণ ভিড় হয় জানেন? নাকি ঘুরতে গেলেই সংক্রমণ বেড়ে যাবে?

আরও যারা লিখেছেন ঘুরিফিরি ডট কমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতিফ আসলাম, বাংলার পথের এডমিন মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম পলাশ, গ্রাম ই বাংলাদেশ এর প্রধান মিঠু সরকার, ড্রিম অন প্ল্যানেট ট্যুরস ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাইসুল ইসলাম, ফড়িংয়ের দল এর ফাউন্ডার দিন ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে।

অনলাইনভিত্তিক ভ্রমণ গ্রুপগুলোর সাথে গভীরভাবে যুক্ত পর্যটন করপোরেশনের এনএসটিটিআই এর সাবেক অধ্যক্ষ পারভেজ এ চৌধুরী।  একসাথে জোড়ালোভাবে সবার দাবি তুলে ধরতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। 

গ্রুপের এডমিন ও উদ্যোক্তাদের সবার দাবি, যেসব এলাকায় করোনা বৃদ্ধি পেয়েছে সেসব এলাকায় লকডাউন চলুক, আর সেসব এলাকার পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকতে পারে। কিন্তু অন্যসব এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে অন্যান্য খাতের মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়া হোক।

করোনা সংক্রমণের কারণে গতবছরের মার্চ মাসের শেষ থেকে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছিল। পরে পরিস্থিতির উন্নতি হলে কিছুদিনের জন্য খুলে দেয়া হলেও সংক্রমণ বাড়ায় আবারও বন্ধ রাখা হয়েছে পর্যটন কেন্দ্রগুলো।

Exit mobile version