চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

‘বঙ্গবন্ধু ফিরে না এলে দেশের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়তো’

KSRM

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুসংহত করেছে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, তিনি ফিরে না এলে দেশের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়তো বলে মনে করেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’ উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র আয়োজিত  ‘সেদিনের স্বপ্ন ও আজকের বাস্তবতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় উপস্থিত আলোচকরা এসব কথা বলেন।

Bkash

তারা বলেছেন: যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশে জাতীয় ঐকের জন্য বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অপরিহার্য ছিল।  বঙ্গবন্ধু ফিরে না এলে দেশের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়তো, স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করতো।

মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ২য় তলার ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা কেন্দ্রের আয়োাজনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশ নেন শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, কূটনৈতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন বক্তারা। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ডক্টর আবু সাইয়িদ।

Reneta June

সাংবাদিক ও কলমিস্ট আবুল মকসুদ তার বক্তব্যে বলেন: বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরা না পর্যন্ত দেশের মানুষ উদ্বেগে ছিল। সে সময় দেশে গৃহযুদ্ধ লেগে যেতে পারতো। মুক্তিযুদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পন, ভারতীয় সেনাদের ফিরে যাওয়া ও বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি আদায় অনিশ্চিত হতো বঙ্গবন্ধু না এলে।

সেসময়ের  বস্তবতা স্মরণ করে তিনি বলেন,‘বঙ্গবন্ধু ফিরে না এলে স্বাধীন বাংলাদেশের পথ চলা কঠিন হয়ে পড়তো। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি অনেক দেশ গড়িমশি করছিলো। কিন্তু দেখা গেলো তিনি ফেরার মাত্র ৩ দিনের মাথায় ১০০’র ও বেশি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।’

ষড়যন্ত্র তখনও ছিলো মন্তব্য করে অধ্যাপক ডক্টর আবু সাইয়িদ বলেন: আমরা তখনও দেখেছি যুক্তরাষ্ট্র, চীন, সৌদি আরবের মতো রাষ্ট্র গুলো দীর্ঘদিন থেকে আশ্বাস দিয়ে আসলেও বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। তারা কখন স্বীকৃতি দিলো? যখন বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হলো।

বিজ্ঞাপন

তখনও বাংলাদেশের বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে এখনও হচ্ছে জানিয়ে৮, ৯ ও ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালনের দাবি জানান তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন বলেন, ‘মুক্তির সংগ্রাম বলতে অর্থনৈতিক মুক্তির কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু। যুদ্ধ বিদ্ধস্থ দেশে বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে কথা বলেন।এসব বিবেচনায় তার প্রত্যাবর্তন দেশের ইতিতাসে অত্যান্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন  মহিউদ্দিন আহমদ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব; মীর শাহাবুদ্দিন, উপাচার্য প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়; শফিকুর রহমান, সভাপতি জাতীয় প্রেস ক্লাব ও মোঃ নাজমুল হক, অধ্যক্ষ ফজলুল হক স্কুল এন্ড কলেজ এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কমান্ডার মো: শাহজাহান মৃধা বেনু।

 

বিজ্ঞাপন

Nil Joler Kabbo
Bellow Post-Green View