পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজের গেটের পাশে ছাত্রছাত্রীদের জমায়েত শুরু হয় সকাল ৯টা থেকে। সমাবেশে ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার ব্যাপারে ছাত্র নেতৃবৃন্দ এবং উপস্থিত রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দেয়। এ অবস্থায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত নেয় ছাত্ররা।
গোলাম মাহবুব, অলি আহাদ আব্দুল মতিন গাজীউল হকের উপস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ শুরু হলেও ১৪৪ ধারা ভঙ্গ না করা নিয়ে যুক্তি দেখান আওয়ামী মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য ডক্টর এস এম হোসেইন এর নেতৃত্বে কয়েকজন শিক্ষক সমাবেশ স্থলে গিয়ে ১১৪ ধারা ভঙ্গ না করার জন্য ছাত্রদের অনুরোধ করেন। কিন্তু উপস্থিত ছাত্রনেতাদের মধ্যে আব্দুল মতিন এবং গাজীউল হক ১৪৪ ধারা ভঙ্গের পক্ষে মত দেন।
ভাষা সংগ্রামী রৌশন আরা বাচ্চু বলেন, ভাষা মতিন তখন উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বললেন আপনারা কি চান? ১৪৪ ধারা ভাঙ্গবেন না ভাঙ্গবেন না? সমস্বরে আমরা সবাই ছাত্র-ছাত্রীরা বলে দিলাম ১৪৪ ধারা ভাঙ্গবোই ভাঙ্গবো।
এ অবস্থায় উপস্থিত সাধারণ ছাত্ররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে মিছিল নিয়ে পূর্ব বাংলা আইন পরিষদের দিকে যাওয়ার উদ্যোগ নেয়।
ভাষা সংগ্রামী কামাল লোহানী বলেন, তারপরেতো মিছিল বেরোলো। ১০-১০ জন করে মিছিলে বেরোবে বলে সিদ্ধান্ত হলো। প্রথম ১০ জন বেরোলো মেয়েরা। তাদেরকে তুলে নিয়ে ঢাকার বাইরে ফেলে দিয়ে আসলো। তারপরে ছেলেরা বেরোলো।
ঠিক সেসময় লাঠিচার্জ এবং গুলিবর্ষণ শুরু করে পুলিশ।
ভাষা সংগ্রামী রফিকুল ইসলাম বলেন, মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের সামনে যখন আমরা জড়ো হচ্ছিলাম যে আমরা প্রাদেশিক পরিষদের দিকে যাবো তখন হঠাৎ কোন রকম সতর্কতা ছাড়া পুলিশ নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে। গুলিতে প্রথম শহীদ হন রফিক উদ্দিন আহমেদ।