প্রথম ১১ ম্যাচে পাননি কোনো ফিফটির দেখা। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শেষটায় এসে হাসল সৌম্য সরকারের ব্যাট। বিকেএসপিতে আগুনঝরা ব্যাটিংয়ে আবাহনীকে চ্যাম্পিয়ন করলেন। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের রানপাহাড় টপকানোর ম্যাচে লিস্ট এ-তে বাংলাদেশের প্রথম হিসেবে বাঁহাতি ওপেনার করলেন ডাবল সেঞ্চুরিও। ১৫৩ বলে ২০৮ রানের অপরাজিত ইনিংসের পথে ভেঙেছেন বেশ কয়েকটি রেকর্ড।
ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ: প্রিমিয়ার লিগের এক ম্যাচে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের মালিক ছিলেন রকিবুল হাসান। ২০১৭ সালের ৮মে বিকেএসপিতে মোহামেডানের হয়ে ১৩৮ বলে ১৯০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন এ মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। মঙ্গলবার একই মাঠে আবাহনীর জার্সিতে সৌম্য ভাঙেন সেই রেকর্ড। ১৩৭ বল খেলে পৌঁছান ১৯০-এ। ইমতিয়াজ হোসেনকে চার মেরে ১৪৭ বলে পৌঁছান স্বপ্নের ডাবলে।
৩১৮ রান তাড়ায় সৌম্য শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২০৮ রানে। লিস্ট-এ ক্রিকেটে দেশের প্রথম ডাবল ও সর্বোচ্চ যেটি। প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে অবশ্য ডাবল সেঞ্চুরি আছে একটি। ২০১৭ সালে বিকেএসপির মাঠেই উদয়াচলের বিপক্ষে ১৬৮ বলে ১৬ চার ও ১৬ ছক্কায় ২২২ রান করেছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের ওপেনার আজমীর আহমেদ।
সর্বোচ্চ ছক্কা: ডাবল সেঞ্চুরির দিনে সৌম্য মেরেছেন ১৬টি ছক্কা। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের পক্ষে যা সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ড ছিল ১১ ছক্কার।
গত রোববার প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে ১১টি ছক্কা মেরেছিলেন সাইফ। সমান ১১ ছক্কার রেকর্ড ছিল সৌম্য ও মাশরাফী বিন মোর্ত্তজারও। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক ফতুল্লায় কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের হয়ে সেঞ্চুরির পথে মেরেছিলেন ১১ ছক্কা।
ওপেনিং ও জুটির নতুন রেকর্ড: শিরোপা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জে জয়ী আবাহনীর সামনে এদিন ছিল ৩১৮ রানের লক্ষ্য। ওপেনিং জুটিতেই সৌম্য-জহুরুল তুলে ফেলেন ৩১২ রান। যেকোনো উইকেটেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি এটি।
ওপেনিং জুটিতে আগের রেকর্ড ছিল গত মৌসুমে আবাহনীর হয়েই এনামুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্তর ২৩৬ রান। ২০০৭ সালে জাতীয় লিগের ওয়ানডে সংস্করণে রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে ২৯০ রানের জুটি গড়েছিলেন মাহবুবুল করিম ও ধীমান ঘোষ।