প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনই খোলা হবে না। অন্তত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
রাজশাহী বিভাগের জেলাসমূহের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তবে যেখানে ভাইরাসের সংক্রমণ কম সেখানে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে। ধীরে ধীরে অনেক কিছুই খুলে দেওয়া হবে। ব্যবসা বাণিজ্যও চালু করা হবে। কৃষিকাজ তো এরই মধ্যে অনেকে করছেন। আমাদের সংগঠনগুলোও সেই কাজে সাহায্য করছে।
ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু জেলায় এখনো করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কম। সেটা যেন কমই থাকে সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। অনেকের কাজ নেই। অনেককে ত্রাণ দিচ্ছি। তাই ক্ষুদ্র ব্যবসা থেকে শুরু করে অনেক কিছুই চালু করতে হবে। অনেকের ঘরে বসে থাকায় ঋণের সুদ নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করছেন। তাদের বলবো, দুঃশ্চিন্তা করবেন না। ঋণ সুদ মওকুফের বিষয়টি বিবেচনা করবে সরকার। পরে এই বিষয় নিয়ে আরো আলোচনা করা হবে।
একখণ্ড জমিও যেন অনাবাদি না থাকে সেকথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষিকাজ যেন সচল থাকে সেজন্য প্রণোদনা দিয়েছি। করোনাভাইরাস মহামারী চলে যাওয়ার পর সারা বিশ্বে দুর্ভিক্ষ আসবে। সেটা মোকাবেলায় আমাদের এখন থেকেই সচেতন হতে হবে। তাই কোনো জমি যেন ফেলে রাখা না হয়। কথায় বলে, পেটে খেলে পিঠে সয়। তাই, নিজের উৎপাদিত কিছু ঘরে থাকলে অল্প টাকায় বিক্রি করে দিন, বা কাউকে দান করে দিন। তাহলেও কাজে আসবে।
এসময় তিনি ভিক্ষুক নাজিমুদ্দিনকে সবার জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে বলেন, সে ফকির, ভিক্ষা করে খায়। ভিক্ষা করে ১০ হাজার টাকা জমিয়েছিলো, ঘর ঠিক করতে। তারপরও সেই টাকা নিজের জন্য না রেখে তুলে দিয়েছে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করতে। সে কোনো চিন্তা করেনি। মানুষের মধ্যে এখনো মানবিকতা আছে। বিত্তশালীদেরই বরং অনেকের নাই নাই ভাব যায় না। চাই চাই ভাব থেকে যায়। নাজিমুদ্দিন যে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে তার কাছে অনেক কিছু শেখার আছে।
এসময় তিনি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ঘরে বসে তারাবীহর নামাজ পড়ার কথা বলেন। বলেন, যারা হাত পেতে চাইতে পারছে না তাদের তালিকা করার নির্দেশ দিয়েছি। এরই মধ্যে আমরা খাদ্য বিলি করেছি। রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে রমজানের মাঝামাঝি আবার খাদ্য বিলি করবো। পণ্য পরিবহনে কেউ বাধা দিবে না। বরং সুযোগ দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে আরো সুযোগ দেওয়া হবে। যেন পণ্য সরবরাহ সঠিক থাকে। দুর্যোগ আসবে সেটা মোকাবেলায় সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। আমরা আবার আলোর পথে যাত্রা করবো।