চলছে সূর্যমুখীর মৌসুম। ১৯৭৫ সাল থেকে দেশে সূর্যমুখীর চাষ শুরু হয়। তবে ব্যাপকভাবে এর চাষ সম্ভব হয়ে ওঠেনি এতোদিন। সাম্প্রতিক সময়ে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখী ফুলের চাষ নতুন সম্ভাবনার জানান দিচ্ছে। মাঠে মাঠে হলুদ ফুলের এই সম্ভার একদিকে যেমন মনোরম অন্যদিকে বহু মানুষকে স্বাবলম্বী করে তুলছে।
সূর্যমুখীর বীজে ৪০-৪৫% লিনোলিক এসিড রয়েছে। এতে ক্ষতিকারক ইরোসিক এসিড নেই। হৃদরোগীদের জন্য সূর্যমুখীর তেল খুবই উপকারী।
সাধারণত সমভুমি এলাকায় শীতকালীন শস্য হিসাবে সূর্যমুখী চাষ করা হয়। বর্তমানে রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া, নাটোর, পাবনা, দিনাজপুর, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, বরিশাল, নোয়াখালী প্রভৃতি জেলাতে এর ব্যাপক চাষ হচ্ছে।
সূর্যমুখীর তেল ঘিয়ের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এটি বনস্পতি তেল নামে পরিচিত। রান্নার তেল হিসেবে হৃদরোগীদের জন্য বেশ উপকারী সূর্যমুখী তেল। এতে কোলেস্টেরলের মাত্রা যেমন কম, তেমন রয়েছে ভিটামিন এ, ডি ও ই।
কৃষকরা বলছেন, সূর্যমুখী চাষে তারা লাভ পাচ্ছেন। স্থানীয় এক কোম্পানি তাদের কাছ থেকে কিনে নিচ্ছেন সমস্ত বীজ। ফলে সূর্যমুখী চাষে তারা বেশ আগ্রহ পাচ্ছেন।