সিরিয়া সরকারের সম্ভাব্য রাসায়নিক অস্ত্রের ঘাঁটি সন্দেহে বেশ কিছু এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স।
শনিবার স্থানীয় সময় ভোরে হামলাটি চালানো হয়।
গত সপ্তাহে সিরিয়ার দুমা শহরে হওয়া রাসায়নিক হামলার জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দেশ তিনটির পক্ষ থেকে দেয়া তথ্যে জানিয়েছে বিবিসি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ৯টায় এ বিষয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। ওই সময়েই তিনি জানান, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে মিলে যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনী এবং যৌথ অভিযান অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে।হামলার পর পেন্টাগন জানায়, রাজধানী দামেস্কসহ হোমস শহরের পাশের দু’টি এলাকাতেও বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। সিরিয়া সরকারের রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই বোমা হামলাগুলো চালানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
পেন্টাগনের ব্রিফিংয়ে জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড বোমা বিস্ফোরণ হওয়া তিনটি লক্ষ্যবস্তুর তালিকা প্রকাশ করেন:
১. রাসায়নিক ও জৈবিক অস্ত্র তৈরির কাজ চলছে বলে অভিযুক্ত দামেস্কের একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র,
২. হোমসের পশ্চিমে একটি রাসায়নিক অস্ত্র গুদাম,
৩. রাসায়নিক অস্ত্রের যন্ত্রপাতির আরেকটি গুদাম এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ কমান্ড পোস্ট, এটাও হোমসের কাছে।
এ ঘটনার পর সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে জানানো হয়েছে, ইতোমধ্যে ডজন খানেকেরও বেশি নিক্ষিপ্ত মিসাইল আকাশেই ধ্বংস করেছে সরকারি বাহিনী।
হামলার কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের মিত্রপক্ষ রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তার দেশের বন্ধু দেশের ওপর এই হামলাকারীদের ‘বিনা জবাবে ছেড়ে দেওয়া হবে না’।