‘আমার বাড়ি ভৈরব। করোনার কারণে নিজ এলাকার কিছু দিনমজুর মানুষকে কর্মহীন হয়ে যেতে দেখেছি। তাদের দুর্দশা খুব কাছ থেকে দেখছি। ইচ্ছা থাকলেও তাদের পাশে দাঁড়ানোর সামর্থ আমার নেই। যেহেতু আমার সম্বল একমাত্র স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘দ্য টাইপিস্ট’! তাই এটি নিয়েই অসচ্ছল ও কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে চাই।’
চ্যানেল আই অনলাইনকে কথাগুলো বলছিলেন তরুণ নির্মাতা নাঈম হক। নাটক, চলচ্চিত্রে সহকারি হিসেবে কাজ করা এই তরুণের একক নির্মাণ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘দ্য টাইপিস্ট’। যা ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশের দশটি চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শীত হয়েছে।
শুধুমাত্র নিজ এলাকার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অভিপ্রায় থেকে ৩০০ টাকার বিনিময়ে একজন দর্শককে ‘দ্য টাইপিস্ট’ দেখানোর নিজস্ব উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন নাঈম।
এ বিষয়ে এই তরুণ বলেন, অতীতে অনেকেই ‘দ্য টাইপিস্ট’ দেখতে চেয়েছেন। কিন্তু ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি চলমান থাকায় তখন অনলাইনে রিলিজ দিতে পারিনি। কিন্তু করোনার এই দুঃসময়ে আগ্রহীদের জন্য নিজ উদ্যোগে অনলাইনে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি দেখাতে চাই। আর এর বিনিময় দিয়ে যদি কর্মহীন পাঁচটি পরিবারের পাশেও দাঁড়াতে পারি, তাহলে নিজেকে ধন্য মনে করবো।
তিনশো টাকা একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের টিকেট হিসেবে উচ্চমূল্য মনে হলেও নাঈমের দাবি, অসচ্ছল আর অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর শুভ উদ্দেশ্য থেকে হয়তো অনেকেই এগিয়ে আসবেন।
শুক্রবার দুপুরে নাঈম জানান, ৩০০ টাকার বিনিময়ে অনলাইনে ‘দ্য টাইপিস্ট’ দেখানোর ঘোষণা দেয়ার পর ইতোমধ্যে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্যান্ড দল ‘সর্বনাম’। ভৈরবে করোনা দুর্গত বেশ কয়েকটি অভুক্ত পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছে দলটি। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।