করোনার কারণে প্রায় সাত মাস পর খুলেছে দেশের প্রেক্ষাগৃহ। নানা কারণেই দেশের সিনেমা প্রশ্নবিদ্ধ, তারউপর মানহীন ছবি দিয়ে ‘নিউ নরমাল’ পরিস্থিতিতে নতুন যাত্রার শুরুতেই আবারও সমালোচনার মুখে দেশীয় সিনেমা। ঠিক এই সময়ে সিনেমা অঙ্গনে পরিচ্ছন্ন বাতাসের আভাস!
হ্যাঁ, আসছে শুক্রবার মুক্তি পেতে যাচ্ছে মাসুদ হাসানের পরিচালনায় বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’। এমন খবরে সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকে বলছেন, ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ মুক্তির মধ্য দিয়ে এই মুহূর্তে মানসম্পন্ন সিনেমার যে খরা, তা কিছুটা হলেও কেটে যাবে।
তবে সিনেমাটি কোনো সিঙ্গেল স্ক্রিনে মুক্তি পাচ্ছে না বলে জানান নির্মাতা। চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, শুধুমাত্র রাজধানীবাসিই আপাতত ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ দেখতে পারবেন। কারণ সিনেমাটি শুধু মুক্তি পাচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্সের তিনটি শাখায়।
শনিবার সন্ধ্যার পর ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ মুক্তির ঘোষণার পর পরই ছবিটি নিয়ে রীতিমত হইচই পড়ে সোশাল মিডিয়ায়। ছোট ও বড় পর্দার তারকা অভিনেতা থেকে নির্মাতা, কিংবা শিল্পী থেকে কবি, সাহিত্যিক এমনকি গণমাধ্যমকর্মীদেরও ছবিটির পোস্টার শেয়ার করে নির্মাতা ও কলাকুশলীদের শুভ কামনা জানাতে দেখা গেছে। যা কোনো সিনেমার প্রচারণায় বিরল ঘটনা!
গেল ফেব্রুয়ারিতে বিনা কর্তনে সেন্সর ছাড়পত্র পায় ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’। ছবিটি দেখে সেন্সর বোর্ডের একাধিক সদস্য ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সিনেমা মুক্তি সামনে রেখে চলছে প্রচারণার কাজ। পোস্টার, টিজার, ট্রেলার প্রকাশের পর ব্যাপক প্রশংসিত হয়। এই ছবির মাধ্যমেই প্রথমবার সিনেমার গানে কণ্ঠ দেন বেইজ বাবা সুমন। সর্বশেষ ‘এ শহর’ নামে সৌরিনের লেখা, সুর ও কণ্ঠে আরো একটি গান প্রকাশ পেয়েছে।
সৌরিনের কণ্ঠে সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ এর আরো একটি গান:
দ্রোহের মন্ত্রে ভালোবাসার কথা বলেন মাসুদ হাসান। কাজে। কর্মে। পরম ভালোবাসায় যে দ্রোহের মূর্তি তিনি এঁকেছেন তার সমস্ত সৃষ্টিকর্মে। ছবি থেকে গান কিংবা ভিজ্যুয়াল ফিকশনে। সব জায়গায়। নাটক, টেলিছবি আর বিজ্ঞাপনচিত্র! যে জীবন ফড়িংয়ের, ধুলোর মানুষ-মানুষের ঘ্রাণ, ফসিলের কান্না, কালো বরফ জমাট অন্ধকার কিংবা থতমত এই শহরের মতো কতো কতো গল্প আর চরিত্ররা যে জীবন পেয়েছে তার হাত ধরে!
‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’-এ জুটি বেধে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ ও শারলিন ফারজানা।
সিনেমাটির ধরন সম্পর্কে জানতে চাইলে এরআগে চ্যানেল আই অনলাইনকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে নির্মাতা জানিয়েছিলেন, ‘সিনেমাটিকে বিজ্ঞানমনস্ক রোমান্টিক ছবি বলতে চাই। এটাকে সাইন্স ফিকশন বলব কিনা জানিনা, কারণ সাইন্স ফিকশন-এর গ্লোবাল যে প্র্যাকটিস আছে, সেই প্র্যাকটিস-এর মত এই সিনেমা না। টেকনোলজির ভারে আবেগ অনুভব করতে কষ্ট হবে, এমন জিনিস এখানে নেই। তবে এটি খুবই সাইন্স রিলেটেড একটি প্রোডাকশন, কিন্তু খুবই আবেগী।’
গেল ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশ পায় ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ এর ট্রেলার: