চট্টগ্রাম থেকে: বোলিং অ্যাকশনে পরিবর্তন এনেছিলেন তাইজুল ইসলাম। চেয়েছিলেন লাল বলের পাশাপাশি সাদা বলেও ধার বাড়াতে। কাজ করেছেন সাবেক নিউজিল্যান্ড স্পিনার ড্যানিয়েল ভেট্টরির সঙ্গে। তখনকার স্পিন বোলিং কোচের মতোই দেখাত তাইজুলের বোলিং অ্যাকশন!
সেই চেষ্টায় সফলতা না পেয়ে তাইজুল ফিরে আসেন আগের অ্যাকশনে। দ্রুতই ফিরে পান নিজেকে। পথে ফেরাতে তাকে সহায়তা করেন বিসিবির স্থানীয় স্পিন কোচ সোহেল ইসলাম।
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় পাকিস্তান সিরিজে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে নেই স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ। অন্তর্বর্তীকালীন স্পিন কোচ করা হয়েছে সোহেলকে।
কোচের বড় অ্যাসাইনমেন্টে তাইজুলের উপহার ৭ উইকেট। চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ লিড পেতে পারে সেটি একসময় চিন্তাই করা যায়নি। তাইজুলের একের পর এক সাফল্যে লিড সম্ভব হয়েছে।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তাইজুল সঙ্গে পান কোচকে। অ্যাকশন পরিবর্তন নিয়ে বিস্তারিত জানান গুরু-শিষ্য।
‘এটা সত্যি যে আমি আমার পুরনো অ্যাকশনেই সফল। আসলে চেষ্টা করছিলাম যেটা করা যায় কিনা। কিন্তু অ্যাকশন যে পরিবর্তন করা যাবে না, করলে যে অনেক বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে, এমনটা হয়নি। অনেক বড় সাহায্য পেয়েছি সোহেল ভাইয়ের কাছ থেকে। যখন পুরনো অ্যাকশনে ফিরতে চেয়েছি সোহেল ভাইয়ের কারণে সেটা তাড়াতাড়ি হয়েছে। উনি আমার অ্যাকশন সম্পর্কে ভালো জানেন। তাই খুব একটা সমস্যা হয়নি।’
কোচ সোহেল তাইজুল সম্পর্কে বললেন, ‘নিয়ন্ত্রিত থেকে মনোযোগ দিয়ে বোলিং তাইজুলের সাফল্যের কারণ। ক্যারিয়ারের এই সময়ে এসে অ্যাকশন পরিবর্তন সাহসী সিদ্ধান্ত ছিল। আমার মনে হয় এটা অনেক বড় সাহসিকতার ব্যাপার।’
পাকিস্তানের সাত উইকেট তুলে নিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশকে পথে ফেরান তাইজুল। কঠিন অবস্থা থেকে এনে দেন লিড। অথচ টপঅর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় এ বাঁহাতি স্পিনারের সাজানো বাগান অনেকটাই তছনছ।
স্পোর্টিং উইকেটে অভাবনীয় সাফল্যের পরও স্বস্তি নিয়ে টিম হোটেলে ফেরা হলে না তাইজুলের, আসলে পুরো দলের। প্রথম ইনিংসের মতো শুরুতেই যে ছত্রখান চার উইকেট!