চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

সার্চ কমিটি শতভাগ নিরপেক্ষ: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

সার্চ কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে নাম প্রস্তাব করতে গঠিত সার্চ কমিটিকে শতভাগ (অ্যাবসোলুটলি) নিরপেক্ষ বলে উল্লেখ করেছেন কমিটির সাচিবিক সহায়তার দায়িত্বে থাকা মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল সার্চ কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদেরকে এসব কথা বলেন তিনি।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এমন ৬০ জনের সাথে বসে কমিটি তাদের অভিমত নেবে।

সার্চ কমিটির সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে মঙ্গলবার দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে ছিলেন কমিটির সদস্য হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন এবং লেখক-অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।

এছাড়াও ছিলেন সার্চ কমিটির কর্ম সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তার দায়িত্বে থাকা মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

গত রোববার সার্চ কমিটির প্রথম বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘ইসি গঠনের ক্ষেত্রে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের কাছে নাম চাওয়া হবে এবং তারা পছন্দের নাম প্রস্তাব করতে পারবেন। এছাড়া ব্যক্তিগত ভাবেও কেউ চাইলে নাম প্রস্তাব করতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

‘‘মঙ্গলবার আবার আমরা বসবো। এরপর সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ যারা আছেন তাদের সাথেও  আমরা বসব। আগামী শনিবার ২টি এবং রোববার ১টি মিটিং হবে। এতে কোনো প্রস্তাব আসলে সেটা নেওয়া হবে। সবার বক্তব্য, আইন ও অন্যান্য সবকিছু বিবেচনা করে ১০ জনের নাম দেওয়া হবে। এই সার্চ কমিটির আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৫ কার্যদিবস সময় রয়েছে নাম প্রস্তাব করে রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেয়ার জন্য।’’

গত ৫ ফ্রেব্রুয়ারি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন- ২০২২’ অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

পরের দিন ৬ ফেব্রুয়ারি সার্চ কমিটির প্রথম বৈঠকে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার পদে নাম আহ্বানের সিদ্ধান্ত হয়। দলগুলোর পাশাপাশি ব্যক্তিগত পর্যায়ে কেউ আগ্রহী হলে তিনিও নিজের নাম প্রস্তাব করতে পারবেন বলে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

আইন অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন গঠনে নাম চূড়ান্তের করতে সার্চ কমিটির জন্য নির্ধারিত সময় ১৫ কর্মদিবস। কমিটি প্রতিটি পদের জন্য দুটি করে মোট ১০টি নাম সুপারিশ করবে। এরপর রাষ্ট্রপতি সেখান থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য চার কমিশনারের নাম চূড়ান্ত করবেন।

আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ শেষ হবে।

Labaid
BSH
Bellow Post-Green View