
রিফাত হত্যার সাথে সংশ্লিষ্ট সাগরের পুলিশের কন্সটেবল পদে চাকরি এখনো হয়নি জানিয়ে বিষয়টি ভুলভাবে উপস্থাপন না করার জন্য অনুরোধ করেছে পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স রোববার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের অবস্থান তুলে ধরেছেন।
নিয়োগ পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হওয়াকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নজরে এসেছে। পুলিশ বলছে, সাগরের কন্সটেবল পদের মৌখিক পরীক্ষায় পাস করার মানেই সে কন্সটেবল পদে নিয়োগ পেয়েছে এমন নয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়-

পুলিশের কন্সটেবল পদে নিয়োগ নিম্নোক্ত ধাপসমূহের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়:
১. শারীরিক মাপ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা
২. লিখিত পরীক্ষা
৩.মৌখিক পরীক্ষা
৪. স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফিকেশন
৫. প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য এসপি কর্তৃক নিয়োগ প্রদান
৬. প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের প্রতিনিধিসহ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের কমিটি কর্তৃক চূড়ান্ত বাছাইয়ে উপযুক্ততা সাপেক্ষে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ
৭. ৬ মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ সন্তোষজনকভাবে সমাপনান্তে কন্সটেবল পদে পদায়ন।
বরগুনার জেলায় কন্সটেবল পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল ২৬/০৬/২০১৯ খ্রি. ভোর তিনটার দিকে প্রকাশ করা হয়। অন্যদিকে ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রিফাতের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। রিফাত বিকেল চারটার দিকে মারা যায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, কন্সটেবল পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা ওই ঘটনা ঘটার আগে সম্পন্ন হয়েছিল। মৌখিক পরীক্ষার পর পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হয়। এ পর্যায়ে কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের সাথে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তিনি নিয়োগ অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তাই সাগরের কন্সটেবল পদের মৌখিক পরীক্ষায় পাস করার মানে এই নয় যে তিনি কন্সটেবল পদে নিয়োগ পেয়ে গেলেন। কাজেই বিষয়টি ভুলভাবে উপস্থাপন না করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
রিফাত হত্যার পরিকল্পনা করা ফেসবুকভিত্তিক ম্যাসেঞ্জার গ্রুপের নাম ‘০০৭’। ইতোমধ্যেই এ গ্রুপে রিফাত হত্যার পরিকল্পনার কথোপকথনের বেশ কয়েকটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
সাগর বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবদুল লতিফ মাস্টারের ছেলে। বর্তমানে তারা বরগুনা পৌরসভার পশ্চিম আমতলা পাড় সড়কের বাসিন্দা।