উদ্বোধনী জুটিতে পঞ্চাশ পাড়ি দেওয়ার পর পড়ল আয়ারল্যান্ডের প্রথম উইকেট। স্টিফেন ডোহেনিকে কিপার মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশের দেয়া ৩৩৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে আয়ারল্যান্ড ভালোই জবাব দিতে থাকে। দ্বাদশ ওভারে বাংলাদেশ পায় প্রথম সাফল্য। ৩৮ বলে ৩৪ রান করে ফেরেন ডোহেনি। মারেন ৪টি চার ও ১টি ছক্কা। দলীয় ৬০ রানে আইরিশদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে।
পরের ওভারে ইবাদত হোসেন ফেরান আরেক ওপেনার পল স্ট্রিলিংকে। উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতেই ক্যাচ দেন তিনি। ২ রানের ব্যবধানে পড়ল আয়ারল্যান্ডের দুই উইকেট।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ১৩ ওভারে ২ উইকেটে ৬৪ রান।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রান তোলে। ওয়ানডেতে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। ২০১৯ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৩৩ ছিল আগের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
মুশফিকুর রহিমের ২৬ বলে ৪৪ রানের ক্যামিও বড় সংগ্রহের পথে রেখেছে দারুণ অবদান।
৮১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকেই শুরু হয় বড় লক্ষ্যের পথে ছোটা। সাকিব-হৃদয়ের সাবলীয় ব্যাটিং জাগায় তিনশর আশা। সেটি আরও বড় হয় টেলএন্ডারদের দাপুটে ব্যাটিংয়ে।
ইয়াসির আলি চৌধুরী ১০ বলে ১৭, তাসকিন আহমেদ ও নাসুম আহমেদ ৭ বলে ১১ রান করেন।
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডে অভিষেকে সেঞ্চুরির খুব কাছে চলে গিয়েছিলেন হৃদয়। অল্পের জন্য ইতিহাসগড়া হয়নি এ তরুণের।
গ্রাহাম হিউমের বলে বোল্ড হতেই থমকে যায় সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের গ্যালারি। দর্শকদের সেঞ্চুরি উদযাপনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেন। ৮৫ বলে ৯২ ইনিংসে ছিল আটটি চার ও দুটি ছক্কা।
তার আগে সাকিব ৯৩ রান করে ফেরেন। নার্ভাস নাইনটিজে ফেরেন দুজনই।