অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ও দণ্ডবিধিতে করা মামলায় প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের জামিনের বিষয়ে আদেশ রোববার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রোজিনা ইসলামের জামিন আবেদনের ভার্চুয়াল শুনানির পর বিকেলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য রোববার দিন ধার্য করেন।
আদালতে রোজিনা ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী, আশরাফ উল আলম, প্রশান্ত কুমার কর্মকার ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। এছাড়া আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবী আব্দুর রশীদ, ব্লাস্টের আইনজীবী মশিউর রহমান এবং আইনজীবী সুমন কুমার রায় রোজিনা ইসলামের পক্ষে আদালতে শুনানিতে ছিলেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন।
এর আগে গত সোমবার সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। সেখানে বিকেল তিনটার দিকে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাকে একটি কক্ষে আটক করেন। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রোজিনা ইসলামকে শাহবাগ থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাত ৯ টার দিকে তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর রাত পৌনে ১২টার দিকে শাহবাগ থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী বাদী হয়ে করা এই মামলায় রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৮৯ ও ৪১১ ধারায় এবং অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৩ ও ৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

এরপর গ্রেপ্তার রোজিনা ইসলামকে মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে শাহবাগ থানা থেকে আদালতে নেওয়া হয়। বেলা ১১টার পর তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তোলা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে রোজিনা ইসলামকে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আজ আদালতে রোজিনা ইসলামের জামিন আবেদনের শুনানির পর আদালত আদেশ দেন।