চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘সরকারের দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত রয়েছে’

সরকারের দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, ‘সরকারের দুর্নীতিবিরোধী বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যেকোনও অবস্থায় যেখানেই দুর্নীতি, যেখানেই অপকর্ম- সেখানেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। দলের ভিতরেও অপকর্ম করলে কেউই রেহাই পাবে না।’

শনিবার ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট ডব্লিউবিবিআইপি প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় একথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।

মন্ত্রী বলেন, ‘পত্রিকায় দেখলাম দুর্নীতিবিরোধী অভিযান নাকি বন্ধ হয়ে গেছে। একথা মোটেও সত্য নয়। সরকারের দুর্নীতিবিরোধী, অনিয়ম-অপকর্ম বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যেকোনও অবস্থায় যেখানেই দুর্নীতি, যেখানেই অপকর্ম- সেখানেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই বিষয়টি তদারক করছেন। এ অভিযান চলবে। এমনকি আমাদের দলের অভ্যন্তরেও যদি অনিয়ম করে, অপকর্ম করে সেটাও প্রধানমন্ত্রীর নজরের বাইরে নেই। সবকিছুই প্রতিনিয়ত রিপোর্ট হচ্ছে। কেউই অপকর্ম করে রেহাই পাবেন না। তা পরিষ্কার করে জানিয়ে দিতে চাই।’

বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে জেলা ও উপ-কমিটি গঠন করার কথা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কেন্দ্রের যে সব কমিটি ইতোমধ্যেই জমা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো এখনই ঘোষণা করা হবে না। যাচাই-বাছাই করে পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের নাম তালিকায় আছে কি না তা দেখা হবে।’

স্বজনপ্রীতি ও নিজেদের লোক দিয়ে কমিটি দেওয়া হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন: দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের অবশ্যই মূল্যায়ন করতে হবে। অবিতর্কিত ও ত্যাগীদের কমিটিতে অগ্রাধিকার অবশ্যই দিতে হবে এবং বিতর্কিতদের বাদ দিতে হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাকালে পিছিয়ে পড়া কাজগুলো অধিকতর সক্রিয়তার মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে।’

কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। কর্মসম্পাদনের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে এবং অপচয় রোধ করতে হব।’

‘‘খালি জায়গা পেলেই যত্রতত্র ভবন নির্মাণ বন্ধ করতে হবে এমন নয়, মানসম্মত সড়ক ও সেতু নির্মাণই হবে প্রধান কাজ।’’

পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত এক কোটি গাছের চারা রোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংসদ ভবন এলাকায় দুটি গাছের চারা রোপণ করেন।