দেশে শৈত্যপ্রবাহ বিগত ৫০ বছরের রেকর্ড ভাঙলেও শীত মোকাবেলায় সরকারের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, ইতোমধ্যেই সারাদেশে ১০ লাখ ১২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া অতি শীতপ্রবণ ২০ জেলায় আরও ৯৮ হাজার পিস কম্বল এবং ৮০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, শীত নামার আগেই প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ১৮ লাখ কম্বল পাঠিয়েছিলেন। শীতবস্ত্রের অভাবে দেশে কোন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমে শীতে মারা যাওয়ার যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আলাপ করে জেনেছি, একজন ছাত্রী ট্রমায় আক্রান্ত অবস্থায় মারা গেছে। বাকিরা মারা গেছেন বার্ধক্যজনিত কারণে। তাদের বয়স ৮০ বছরের বেশি।
সপ্তাহব্যাপী চলা শৈত্যপ্রবাহে দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে। উত্তরের জনপদগুলোতে অবস্থা বেশি শোচনীয়। প্রতিনিয়তই ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে। প্রচণ্ড শীতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সোমবার রেকর্ড করা হয় উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। সোমবার সকালে সেখানে তাপমাত্রা ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এ অবস্থা চলবে ১০ তারিখ পর্যন্ত তারপর স্বাভাবিক হয়ে আসবে তাপমাত্রা।
পঞ্চগড়ে শৈত্যপ্রবাহ ও তীব্র শীতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। শীতবস্ত্রের অভাবে ও কাজের সুযোগ কমে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। কয়েকদিনে উত্তরে হিমেল হাওয়া ও ঘনকুয়াশার কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে শীতের তীব্রতা থাকায় মানুষজন দ্রুতই ঘরে ফিরে যাচ্ছে। দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।