গত ১ এপ্রিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে তা স্থগিত হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে গত ১৭ মর্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও। এই পরিস্থিতিতে এক অনিশ্চিত শিক্ষা জীবনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশের উচ্চ শিক্ষার পাইপলাইন এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা।
পরীক্ষা হবে কি হবে না, হলেও কবে হবে, তা নিয়ে রয়েছে নানা গুঞ্জন। এই অবস্থায় এইচএসসি পরীক্ষা বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানালেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণের সময়সূচি এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে পরীক্ষা গ্রহণের দুই সপ্তাহ আগে সবাইকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সচিব।
সচিব বলেন, আপাতত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। তারপরের সিদ্ধান্ত এখনও নেয়া হয়নি। তবে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার সকল প্রস্তুতি নেয়া আছে। সিদ্ধান্ত হলেই তা নেওয়া হবে এবং আগেই শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেন্টার সংখ্যা বাড়িয়ে পরীক্ষা নেয়া হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে কিনা তা জানতে আরো কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।
দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়এর ভবিষ্যত শিক্ষার্থী এইসব এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা গত এপ্রিলে অনুস্ঠিত হলে এতোদিনে তাদের ফলাফল বের হয়ে যেত। কিন্তু সংকটকালীন এইসময়ে তাদের শিক্ষা জীবনে নেমে এসেছে বাধা। শিক্ষা কার্যক্রমে কোনো ধরণের বাধা আসলে শিক্ষার্থীদের জন্য বিরাট এক সমস্যা। অন্যান্য নানা শ্রেণিতে অনলাইন কার্যক্রমের মাধ্যমে কিছুটা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা হলেও পরীক্ষা শুরুর মাত্র ৭/৮দিন আগে পরীক্ষা স্থগিতের কারণে তারা সমস্যায় পড়েছে। এছাড়া কলেজ কর্তৃপক্ষের সংগে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম শেষ হওয়াতে তারা ভুলতে বসেছে তাদের পড়াশোনা। বিষয়টি খুবই চিন্তার।
সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর ঘোষণা হয়তো আসবে অদূর ভবিষ্যতে, কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা দ্রুততম সময়ে কতোটা প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষায় বসতে পারবে তা ভেবে দেখা যেতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশও এধরণের অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তারা কীভাবে এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে তা দেখা যেতে পারে। তাছাড়া পরীক্ষা শুরুর ঘোষণা দিলেও কমপক্ষে এক-দেড় মাস আগে দেয়া যেতে পারে। যাতে করে তারা ৫/৬ মাসের শিক্ষা বিরতির ধকল তারা কাটিয়ে উঠতে পারে। আমাদের আশাবাদ, দেশের শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা প্রশাসন এ বিষয়ে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেবে।