দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ৩৩৬তম দিনে শনাক্তের হার কমে হয়েছে ২ দশমিক ৫১ শতাংশ। এখন পর্যন্ত দেশে এটাই শনাক্তের সর্বনিম্ন হার। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৮৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এছাড়াও ৮ জনের মৃত্যুতে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ১৯০ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ১২ হাজার ১৩৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৩০৫ জন শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২ দশমিক ৫১ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩৯ ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ২৯ লাখ ১০ হাজার ৩২৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৮ লাখ ২৬ হাজার ২৭৯টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা ৩৭ লাখ ৩৬ হাজার ৬০৮টি নমুনা।
এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৭৭০ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ৪১৭ জনসহ মোট চার লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ ও দুইজন নারী। তাদের মধ্যে সবারই হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা আট হাজার ১৯০। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ২০৬ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং ১ হাজার ৯৮৪ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৪ দশমিক ২২ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৮ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব দু’জন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব একজন এবং ষাটোর্ধ্ব চারজন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে পাঁচজন, চট্টগ্রাম বিভাগে দুইজন ও খুলনা বিভাগে একজন।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৫৯ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ২৩ লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৭ কোটি ৭৬ লাখের বেশি।