মাত্র ১৮ ঘণ্টায় ধ্রুব টিভির ইউটিউব থেকে ১০ লাখের বেশি দর্শক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিজন তিনের ২৯ নম্বর এপিসোড দেখেছেন। যা অল্প সময়ে জনপ্রিয় এ সিরিয়ালটির রেকর্ড সংখ্যক ভিউস! শুধু ব্যাচেলর পয়েন্ট নয়, এ নির্মাতার বেশিরভাগ নাটক হিট! তবে কি মন্ত্র জানেন নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি?
‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ এর প্রসঙ্গ টেনে অমি জানান, দর্শক নতুন পর্বগুলোর জন্য অপেক্ষা করেন বলেই এতো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
এর আগে অমির পরিচালনায় ‘ব্যাচেলর ঈদ’ নাটকটিও এত অল্প সময়ে ১০ লাখ দর্শক দেখেছিলেন। তবে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এ এবারই প্রথম রেকর্ড সংখ্যক ভিউস পেলেন কাজল আরেফিন অমি। চ্যানেল আই অনলাইনকে সময়ের আলোচিত এ নির্মাতা বলেন, যে কোনো কাজ রিলিজের পর ছড়িয়ে যেতে সময় লাগে। কিন্তু ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ কাজটির জন্য দর্শক অপেক্ষা থাকেন।
প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে হুমড়ি খেয়ে দেখেন। এজন্য সঙ্গে সঙ্গে ছড়িয়ে পরে। রেকর্ড পরিমাণ ভিউস হওয়ার এটাই কারণ বলে মনে করেন কাজল আরেফিন অমি। পরিচালকের চাওয়া, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ দর্শকদের কাছে আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠুক।

তিনি বলেন, আমার অ্যাফোর্ড কমাচ্ছি না। বরং মানুষ পছন্দ করছে বলেই দিন দিন বাড়াচ্ছি। চাচ্ছি আরও বেশি মানুষের কাছে কীভাবে পৌঁছানো যায়। সেজন্যই হয়তো ২৯ নাম্বার এপিসোডটা মাত্র ১৮ ঘণ্টায় মিলিয়ন ভিউস অতিক্রম করেছে।
হয়তো আগামীতে আরও কম সময়ে বেশি মানুষ দেখবে বলে বিশ্বাস করেন একটি বিড়াল বিড়ম্বনা, ট্যাটু, একটি সন্দেহের গল্প, ডিস্টার্ব, এক্স বয়ফ্রেন্ড, গার্লফ্রেন্ডের মতো আলোচিত নাট্য নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি।
আলাপে জানান, ব্যাচেলর পয়েন্ট’র জন্য শুটিংয়ের আগে পরে মিলিয়ে অনেক বেশি সময় দিতে হয় নির্মাতা অমিকে। বললেন, কাজটি আমি অনেক আবেগপ্রবণ হয়ে করি। শুধু আমি নয়, আমার টিম এবং প্রত্যেক শিল্পীর আবেগ মিশে আছে এতে। কোনো শিল্পী শুধুই পারিশ্রমিকের জন্য এ সিরিয়ালটি করে না। অন্য সিরিয়াল গা ছাড়া ভাবে হয় শুনে আসছি। শিল্পী আসে, কাজ করে টাকা নিয়ে চলে যায়। কিন্তু আমার এখানে একটি দৃশ্য শুটিংয়ের পর শিল্পীরা নিজেরাই আলোচনা করে।
পরে ফোন করে জিজ্ঞেস করে এডিট কেমন হয়েছে। আরও একটু ভালো করা সম্ভব হতো কিনা আলোচনা করে। এজন্য নিজেকে সৌভাগ্যবান নির্মাতা মনে করেন অমি। তিনি বলেন, আমার সব কাজেই শিল্পীদের ইনভলবমেন্ট অন্যরকম পেয়েছি। তাহসান ভাই, নিশো ভাই, মেহজাবীন, অপূর্ব ভাইসহ প্রত্যেক শিল্পীর মধ্যেই এই জিনিসটা পেয়েছি। আমার কাজগুলো প্রত্যেক শিল্পীরা নিজেরা আপন করে নেয়। একজন নির্মাতার জন্য এটা অনেক বড় পাওয়া।
‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিরিয়ালটিকে অনেকেই ‘ম্যাসিভ হিট’ প্রোডাকশন বলে মনে করেন। কেউ কেউ আবার এ নাটকটির দিকে আঙুল তোলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সমালোচনা চোখে পড়ে। এগুলো চোখ এড়ায়নি নির্মাতা অমির। তিনি বলেন, আমাকে এই কাজটাকে হিউজ পারসেন্ট দর্শক ভালোবাসে। কিছু মানুষের রুচিবোধের সঙ্গে হয়তো আমার কাজটা যাচ্ছে না। তাদের কাছে হয়তো ভালো লাগে না। এ ক্ষেত্রে আমার কিছু করার নেই। আমি আমার টেস্টের মতো করে কাজটি করছি।
উদাহরণ দিয়ে বলেন, শার্ট প্যান্ট পরলে সেটার ডিজাইন কারও কাছে ভালো লাগবে কারও কাছে খারাপ লাগবে। কেউ স্মার্ট বলবে কেউ ক্ষ্যাত বলবে। এটাই রিয়্যালিটি। অমি বলেন, যাদের কাছে খারাপ লাগে তাদের ভালো লাগার জন্যও অ্যাফোর্ড দেয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু শতভাগ দর্শককে আমি কখনও খুশি করতে পারবো না। পৃথিবীর কোনো পরিচালকই পারবে না।
মোশন রকের ব্যানারে নির্মিত ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার সপ্তাহে তিনদিন প্রচার হচ্ছে ধ্রুব টিভির ইউটিউবে। সিজন থ্রি-তে অভিনয় করছেন মারজুক রাসেল, চাষি আলম, মিশু সাব্বির, জিয়াউল হক পলাশ, সাবিলা নূর, মনিরা মিঠু, আবদুল্লাহ রানা, মুসাফির শোয়েব, সানজানা সরকার রিয়া, শিমুল শর্মা, সুমন পাটোয়ারী ও শরাফ আহমেদ জীবন, পাভেল।