বিজ্ঞাপন
আটক ১০ রোহিঙ্গা মুসলিম নাগরিককে হত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমার। তবে রয়টার্সের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে তা করা হচ্ছে না বলে সরকারের একজন মুখপ্রাত্র রোববার জানিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গত সেপ্টেম্বরে উত্তর রাখাইনের ইনদিন গ্রামে ১০ জন রোহিঙ্গা মুসলিমকে নিরাপত্তাবহিনীর সদস্য ও বৌদ্ধ নাগরিকরা মিলে হত্যা করে গণকবর দেয়।
এই ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আটক হন রয়টার্সের দুই সাংবাদিক, যারা এখনো আটক রয়েছেন।
সম্প্রতি এই ঘটনারই বিচার শুরু করেছে মিয়ানমার। সরকারের মুখপাত্র জ হিতে বলেন, ওই ঘটনায় জড়িত সাত সৈন্য, তিন পুলিশ সদস্য এবং ৬ গ্রামবাসীকে আইন অনুযায়ী বিচারের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই সেনাবাহিনী ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এই ১৬ জনের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
গত ১০ জানুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী জানায়, নিহত ১০ রোহিঙ্গা দুইশজনের একদল বিদ্রোহীর সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা করে। বৌদ্ধ গ্রামবাসী তাদের মধ্যে কয়েকজনকে আটক করে। পরে বৌদ্ধ নাগরিকরা ছুরি দিয়ে কয়েকজনকে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গুলি করে বাকিদের হত্যা করে।
তবে সামরিক বাহিনীর এই বক্তব্য রয়টার্সের প্রতিবেদনের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ। স্থানীয় বৌদ্ধ ও মুসলিম নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রয়টার্স।
স্থানীয় বৌদ্ধরা রয়টার্সকে জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর বড় কোন বিদ্রোহী দলের হামলা হয়নি। আর মুসলিম রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, আশ্রয় প্রার্থী কয়েকশ নারী, পুরুষ এবং শিশুর সঙ্গে সৈন্যরা ওই ১০ জনকেও ধরে নিয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন