বিজ্ঞাপন
ফিফা বর্ষসেরার এগারো জনের তালিকায় থাকলেও সংক্ষিপ্ত তিনে বাদ পড়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সুইজারল্যান্ডের জুরিখে রাতটা তবুও ঝলমলে কাটল পর্তুগিজ সুপারস্টারের। জাতীয় দলের হয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড নিজের করে নেয়ায় পেয়েছেন ফিফার স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড।
সোমবার রাতে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ‘দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস’র জাঁকজমক অনুষ্ঠানে সিআর সেভেন বলেছেন নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে, ধন্যবাদ জানিয়েছেন সতীর্থ থেকে কোচ হয়ে পরিবারকে। দিয়েছেন আবারও বাবা হওয়ার খবর।
ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিশেষ পুরস্কার পেয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী রোনালদো বললেন, ‘এটা একটা স্বপ্ন। প্রথমত, ২০ বছর যাবত জাতীয় দলে যাদের সঙ্গে খেলেছি তাদের ধন্যবাদ।’
জাতীয় দলের হয়ে দীর্ঘদিন সর্বোচ্চ গোলস্কোরার থাকা ইরানের আলী দাইয়ির গোলসংখ্যা টেনে রোনালদো বলেছেন, ‘রেকর্ডটি ১০৯ ছিল, তাই না? আমি গর্বিত। যে সংস্থাটিকে সম্মান করি, সেই ফিফার পক্ষ থেকে পাওয়া পুরস্কার— আমার জন্য স্পেশাল। আমার পরিবারকেও ধন্যবাদ জানাই। দ্রুতই আবার বাবা হচ্ছি। আমি অনেকবেশি গর্বিত। সর্বকালের সর্বোচ্চ গোল স্কোরার হওয়া দুর্দান্ত।’
পর্তুগাল জার্সিতে রোনালদোর গোল এখন ১১৫টি। ফুটবলে নিজের ভবিষ্যতে নিয়ে বললেন, ‘খেলাটির প্রতি আগের মতোই প্যাশন আছে। আরও গোল পেতে চাই। যখন পাঁচ বছর বয়স তখন থেকে খেলে চলেছি। যখন মাঠে যাই, এমনকি অনুশীলনেও আমার অনুপ্রেরণা থাকে।’
‘৩৭ বছর বয়স হলেও ভালো আছি। কঠোর পরিশ্রম করতে পারি। খেলাটি এবং এর প্যাশন ভালোবাসি। খেলা চালিয়ে যেতে চাই। আশা করি সেটা আরও চার বা পাঁচ বছর হতে পারে। সবটা আসলে মানসিক ব্যাপার। শরীরের প্রতি ভালো আচরণ করলে, আপনার যখন প্রয়োজন হবে তখন সে সবটা ফিরিয়ে দেবে।’
ব্যক্তিগত অর্জনে রোনালদো অনেক এগোলেও ব্যর্থ তার দল। সেটা ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বা জাতীয় দল পর্তুগাল হোক। দেশের হয়ে রোনালদো ব্যর্থ সবশেষ ইউরোয়। কাতার বিশ্বকাপে সরাসরি টিকেট কাটতে পারেনি তার দল। বসতে হবে প্লে-অফ পরীক্ষায়, যেখানে কঠিন প্রতিপক্ষ ইতালি।
বিজ্ঞাপন