Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

রিয়াল যখন পুড়ছিল, রামোস তখন শুটিং করছিলেন!

রোম যখন পুড়ছিল, সম্রাট নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন। মঙ্গলবার রাতের ঘটনা বোঝাতে রিয়াল মাদ্রিদকে রোম ধরে, নিরোর চরিত্রে সার্জিও রামোসকে ভেবে নেয়া যেতে পারে। আগের তিন মৌসুমে ইউরোপে যে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল টানা তিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী রিয়াল, আয়াক্সের কাছে সেই সাম্রাজ্য পতন হওয়ার রাতে নিরো রামোস আসলে কী করছিলেন?

এমন প্রশ্নের জবাবে রিয়াল সমর্থকদের গায়ে জ্বালা ধরাতে পারে একটি উত্তর, লস ব্ল্যাঙ্কোসদের গো-হারা হারের রাতে শুটিং করছিলেন দলটির নিয়মিত অধিনায়ক!

না মাঠের বাইরে নয়, মাঠেই ছিলেন রামোস! তবে ভিআইপি বক্সে। আয়াক্সের বিপক্ষে প্রথম লেগে নিজের অতি চালাকিতে যে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন রিয়াল অধিনায়ক, তার জেরে পাওয়া দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা তাকে বসিয়ে রেখেছিল গ্যালারিতে। সেখানেই বসে দেখেছেন প্রথম দল হিসেবে ১০০০ দিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিম্মায় রাখা এক দলের পতন।

নিজের জন্য বরাদ্দ ভিআইপি বক্সে বসে পুরো সময় যে মনোযোগ দিয়ে খেলা দেখেছেন রামোস, সেটিও কিন্তু নয়। মাঠে খেলা চলার সময় একবার ক্যামেরা চলে গেল বক্সের দিকে। সেখানে দেখা গেল রামোসকে ঘিরে আছেন একদল শুটিং ক্রু। পরে জানা যায় আমাজনের জন্য নিজ ব্র্যান্ড ‘এসআরফোরের’ ব্র্যান্ডিংয়ের শুটিং করছিলেন এ ডিফেন্ডার!

রামোস নিশ্চয় বুঝতে পারছিলেন দলের এমন বেহালদশার পেছনে নিজের দায়টাও নেহাত কম নয়! প্রথমার্ধ শেষে যখন ২-০ গোলে পিছিয়ে রিয়াল, তখন ড্রেসিংরুমে গিয়ে দলকে উদ্দীপ্ত করার জন্য অনুপ্রেরণাদায়ী কথাও বলে এসেছেন।

কিন্তু হায়! রামোসের শুকনো কথায় মুড়ি ভেজেনি। রামোস-মার্সেলোবিহীন রিয়ালের রক্ষণভাগ নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেছে আয়াক্স। যার পেছনের দায়টা এড়াতে পারেন না রামোসও। কারণ প্রথম লেগে ২-১ গোলের জয়ের ম্যাচে রিয়াল অধিনায়কের ইচ্ছাকৃত হলুদ কার্ড দেখাকে নিজেদের অপমান হিসেবে নিয়েছিল আয়াক্স। ডাচ দলের মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ং হুমকি দিয়েছিলেন, শোধটা তারা নেবেন। মঙ্গলবার রাতে সেটা নিয়েও ছেড়েছেন।

কিন্তু যার কারণে এত শোরগোল সেই রামোস কী কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়েছেন? সেটির উত্তর অবশ্য এখনও জানা যায়নি!

Exit mobile version