রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ হাসপাতালের করোনার ভুয়া রিপোর্ট নিয়ে প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবির কার্যলয়ে এ কথা জানান গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আব্দুল বাতেন।
অতিরিক্ত কমিশনার মো. আব্দুল বাতেন বলেন, রিজেন্ট হাসপাতাল থেকে করোনা পরীক্ষার যেসব রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। তার বেশিরভাগই ভুয়া ছিল বলে স্বীকার করেছেন সাহেদ। এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য কিছু যন্ত্রপাতি রাখা ছিল। যা দিয়ে করোনার কোনো টেস্ট করা হতো না। শুধু হাসপাতালে শো-করে রেখেছিল। তবে র্যাবের অভিযান পরিচালনার আগেই সাহেদ ওই সব যন্ত্রপাতি সরিয়ে ফেলেন।
তিনি বলেন, আমরা তার ওইসব যন্ত্রপাতি উদ্ধারের চেষ্টা করছি। যদি প্রয়োজন হয় তবে সাহেদকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
সাহেদকে রিমান্ডে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, যারা সাহেদের প্রতারণার শিকার হয়েছেন, অভিযোগ করতে চাইলে ডিবি পুলিশ তাদের অভিযোগ নেবে। আমরা ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তা দেবো।
বৃহস্পতিবার সকালে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম এবং এমডি মাসুদ পারভেজকে ১০ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এর আগে সাহেদসহ গ্রেপ্তার তিনজনকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার সময় অবৈধ অস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তার বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায়ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস পরীক্ষা না করেই সার্টিফিকেট দেওয়াসহ নানা প্রতারণার অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের বিরুদ্ধে গত ৭ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে র্যাব। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন মোট আটজন।
গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালায় র্যাব। পরীক্ষা ছাড়াই করোনার রিপোর্ট ও সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল হাসপাতালটি। পরে ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে রিজেন্ট হাসপাতালের দুই শাখা ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেওয়া হয়।