ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী ও ডিউক অব এডিনবরা প্রিন্স ফিলিপ মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৯ বছর।
শুক্রবার সকালে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। বিষয়টি বাকিংহাম প্যালেস ঘোষণা করেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
বাকিংহাম প্যালেসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে: ‘‘অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানানো যাচ্ছে যে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী ও ডিউক অব এডিনবরা প্রিন্স ফিলিপ মারা গেছেন। আজ সকালে উইন্ডসর ক্যাসলে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।’’
এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রিন্স ফিলিপকে ‘সতর্কতাস্বরূপ’ লন্ডনের সপ্তম কিং এডওয়ার্ড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেসময় বাকিংহাম প্যালেসের এক বিবৃতিতে বলেছিল চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ভর্তি করা হয়। কয়েক দিন ধরে তিনি অসুস্থ বোধ করছিলেন। তবে এ অসুস্থতার সঙ্গে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত নয়। তিনি হাসপাতালে ভালো বোধ করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আরও কয়েক দিন হাসপাতালে থাকবেন।

গত মাসে প্যালেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, প্রিন্স ফিলিপ ও রানী এলিজাবেথ টিকা নিয়েছেন। তাদের সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসকই টিকা দিয়েছেন। এ ছাড়া করোনার শুরু থেকেই তারা উইন্ডসরে রয়েছেন। খুব অল্পসংখ্যক কর্মকর্তা কর্মচারী তাদের সঙ্গে রয়েছেন। এ ব্যবস্থাকে এইচএমএস বাবল বলা হচ্ছে।
১৯৫২ সালে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্রিটিশ সিংহাসনে আরোহণের পর ২০১৭ সালের আগস্টে অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা প্রিন্স ফিলিপ ২২ হাজার ২১৯টি একক সরকারি কর্মসূচিতে অংশ নেন। রয়্যাল মেরিনসহ ৭৮০টির বেশি প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক, প্রেসিডেন্ট অথবা সদস্য প্রিন্স ফিলিপ ৬৩৭ বার বিদেশ সফর করেছেন এবং প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বক্তব্য দিয়েছেন।
১৯২১ সালে জন্মগ্রহণ করেন প্রিন্স ফিলিপ। ১৯৪৭ সালে রাজকন্যা দ্বিতীয় এলিজাবেথকে বিয়ে করেছিলেন প্রিন্স ফিলিপ। রানী এলিজাবেথ ও প্রিন্স ফিলিপের ঘরে চার সন্তানসহ আট নাতি-নাতনি রয়েছেন।
