চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন কাশ্মীরি ক্রিকেটারদের জন্য টিভিতে বিজ্ঞাপন

রাজধানী নয়াদিল্লিতে দ্রুতই শুরু হবে জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট বোর্ডের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন কাশ্মীরে ক্রিকেটারদের খবরটি কীভাবে পাঠানো হবে, সেই চিন্তায় দিশেহারা বোর্ড। শেষে স্থানীয় টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রিকেটারদের ট্রেনিং ক্যাম্পের জন্য ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

নয়াদিল্লিতে জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট বোর্ডের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় দলের সাবেক সদস্য এবং কাশ্মীর ক্রিকেট দলের মেন্টর ইরফান পাঠানও। যেসব ক্রিকেটারের এইভাবে ডেকে পাঠানো হবে তাদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা পারভেজ রসুলও। কাশ্মীরের দুটি স্থানীয় টিভি চ্য়ানেলে টিকার হিসেবে এই বিজ্ঞাপন চালানো হবে।

Bkash July

ফোন করে ডেকে নেয়ার কোনো উপায় নেই। তাই প্রথমে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেয়ার কথা ভাবা হয়। কিন্তু সংবাদপত্র আদৌ সবার কাছে পৌঁছাবে কিনা, সেই সন্দেহ দেখা দেয়। এরপর সব ক্রিকেটারের বাড়িতে লোক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু তাও বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্ভব নয়। তাই টিভিতে বিজ্ঞাপন দেয়াই একমাত্র উপায় বলে মনে হয়েছে বোর্ডের।

এর আগে ৪ আগস্ট নিরাপত্তাজনিত কারণে কাশ্মীর ছাড়তে বলা হয় ইরফান পাঠান-সহ আরও একশো ক্রিকেটারকে। ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটার পাঠান কাশ্মীরের মেন্টর ও কোচ। রঞ্জি ট্রফির জন্য দল গোছাচ্ছিলেন তিনি। এরইমধ্যে এমন নির্দেশ দেয়া হয় তাদের। এরপরই পাঠানরা কাশ্মীর ছেড়ে চলে যান।

Reneta June

কাশ্মীরের উন্নয়নের কথা বলে সেখানে নতুন সংরক্ষণ বিল এনেছে ভারত সরকার। ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ, যেটা কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেয়, তা বিলোপ করা হয়েছে। কাশ্মীরকে দুইভাগ করে কেন্দ্রের সরাসরি শাসনে নেয়া হয়েছে।

ওই অনুচ্ছেদের কারণে জম্মু ও কাশ্মীর অন্য যেকোনো ভারতীয় রাজ্যের চেয়ে বেশি স্বায়ত্বশাসন ভোগ করত। এই ধারাটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এর ভিত্তিতেই কাশ্মীর রাজ্য ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

অনুচ্ছেদ ৩৭০ ভারতীয় রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরকে নিজেদের সংবিধান ও একটি আলাদা পতাকার স্বাধীনতা দেয়। এছাড়া পররাষ্ট্র সম্পর্কিত বিষয়াদি, প্রতিরক্ষা এবং যোগাযোগ বাদে অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে স্বাধীনতার নিশ্চয়তাও দেয়।

৫ আগস্ট বিশেষ অনুচ্ছেদ বিলোপ ঘোষণার আগেরদিন কাশ্মীরের শীর্ষ নেতাদের গৃহবন্দি করে রাখার ঘোষণা আসে। ভারতীয় মিডিয়ার খবর, পরে সাবেক একাধিক মূখ্যমন্ত্রীসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪০০০ হাজারের বেশি মানুষকে। পুরো কাশ্মীরে অনির্দিষ্টকালের জন্য জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। যেটা ২৩ দিন পরও বলবৎ রয়েছে। সবমিলিয়ে অগ্নিগর্ভ কাশ্মীর।

Labaid
BSH
Bellow Post-Green View