উপজেলা নির্বাচনে অনিয়মের সঙ্গে কোনো আপোস নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেছেন, যেখানেই অনিয়ম দেখা যাবে, সেখানেই বন্ধ হবে উপজেলা নির্বাচন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে বুধবার সকালে নির্বাচন কমিশন ভবনে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি পোলিং এজেন্ট না দিয়ে অহেতুক প্রার্থীদের নির্বাচন বিতর্কিত না করার নির্দেশ দিয়েছেন।
একই সঙ্গে ভোটারদের জন্য ভোটদানের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সিইসি বলেন, ভোটাররা যেন নির্ভয়ে কেন্দ্রে যেতে পারে তার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এজন্য সহিংসতা এড়াতে বাড়তি সতর্কতা নেয়া হবে।
ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, কোনোভাবেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। কারো বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এবার পাঁচ ধাপে পঞ্চম উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ১০ মার্চ প্রথম ধাপে চার বিভাগের ৮৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৮ মার্চ, তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ ও চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ ভোটগ্রহণ করা হবে। আর সর্বশেষ পঞ্চম ধাপে ভােটের সম্ভাব্য তারিখ রমজানের পর ১৮ জুন।
প্রথম ধাপের জন্য তফসিলও ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে ইসি। এতে মনােনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১১ ফেব্রুয়ারি। তা যাচাই-বাছাই ১২ ফেব্রুয়ারি এবং প্রত্যাহার ১৯ ফেব্রুয়ারি।
প্রথম ধাপের ভোটে রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলার সবকটি উপজেলা, কুড়িগ্রাম জেলার সবকটি উপজেলা, নীলফামারী জেলার সবকটি উপজেলা এবং লালমনিরহাট জেলার সবকটি উপজেলা রংপুর জেলার সবগুলো উপজেলা। ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকােণার আটপাড়া উপজেলা বাদে বাকি সবগুলো উপজেলা, জামালপুর জেলার সবকটি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও সিলেটের সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর বাদে সবকটি উপজেলায়, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বাদে সব উপজেলায় ভোট হবে।
রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলা বাদে বাকি সবগুলো উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জয়পুরহাট জেলার সবকটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নাটোরের নলডাঙ্গা বাদে বাকিসবগুলো উপজেলায় নির্বাচন হবে এবং রাজশাহী জেলার সবগুলো উপজেলায় নির্বাচন হবে।