
টন্টন থেকে: টানা দুই বছর কোনো সেঞ্চুরি ছিল না। বিশ্বকাপে এসে টানা দুই সেঞ্চুরি! আয়ারল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ব্যাটিং ফর্মটা ইংল্যান্ডে নিয়ে এসেছেন সাকিব আল হাসান। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ফিফটির পর লিখে চলেছেন সেঞ্চুরির মহাকাব্য। আসছে বড় ইনিংস।
কার্ডিফে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২১ রানের ইনিংস খেলার পর টন্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে দেয়ার ম্যাচে অপরাজিত থাকেন ১২৪-এ। অসাধারণ পারফরম্যান্সের পথে কোন জিনিসটা কাজে দিচ্ছে সবচেয়ে বেশি? সংবাদ সম্মেলনে এ প্রশ্নের লম্বা উত্তর দিলেন সাকিব। জানালেন, মানসিক দৃঢ়তাই মানুষকে জয়ী করে যুদ্ধের ময়দানে।
‘আসলে এরকম পর্যায়ে এমন পরিবেশ-পরিস্থিতিতে মানসিক শক্তিটাই সবচেয়ে বেশি কাজ করে। ফিটনেস ভালো থাকলে যেটা হয় ওটা আপনাকে সাহায্য করে। প্রকৃতপক্ষে মনটাকে যত শক্ত রাখা যায় এখানে, যতবেশি সাহস রাখা যায়, তাহলে ব্যাটিং বলুন আর বোলিং, ওই সময়টায় (মাঠের লড়াই) সাহায্য করে। আসলে যুদ্ধটা হয় নিজের সঙ্গে নিজের। নিজে নিজে যদি কেউ হেরে যায় মনের ভেতরে, তাহলে তার জেতার সম্ভাবনা থাকে না। নিজে যদি মন থেকে বলে জিতব জিতব, হয়ত সবসময় সফল হবে না, বেশিরভাগ সময়েই হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩২২ রানের বড় লক্ষ্য সামনে নিয়েও জেতার মনছবি বাংলাদেশকে দিয়েছে বড় মঞ্চে বড় সাফল্য। ৫১ বল হাতে রেখেই ক্যারিবীয়দের ৭ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ।

সাকিব জানালেন, শুরু থেকেই জয়ের লক্ষ্যে অবিচল ছিল বাংলাদেশ। ড্রেসিংরুম কিংবা ২২ গজে ব্যাটিংয়ের সময়, একটি মুহূর্তেও ঘাবড়ে যায়নি দল। ক্রিকেটে মানসিক শক্তিটাই যে বড় সেই উদাহরণ তৈরি করা বাংলাদেশ মঙ্গলবার ধরবে নটিংহ্যামের পথ। সেখানে আগামী ২০ জুন প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া।