স্থানীয়ভাবে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনে উৎসাহী করতে চলমান কর-কাঠামো আরো এক বছর চালু রাখতে মোবাইলফোন আমদানিকারকরা আহ্বান জানিয়েছেন। তা না হলে মোবাইলের চোরাইবাজার উৎসাহিত হবে বলে মনে করেন তারা।
এছাড়া তিন বছরের মধ্যে অন্তত ৯০ শতাংশ মোবাইল দেশেই উৎপাদন কিংবা সংযোজনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তারা।
স্থানীয়ভাবে উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে বাজেটে মুঠোফোনের আমদানি ও সংযোজন শিল্পে ১০ শতাংশ শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও মুঠোফোন আমদানিকারকদের দাবি, এত দ্রুত উৎপাদনে যাওয়া সম্ভব নয়। উৎপাদন কিংবা সংযোজনে যাওয়ার সক্ষমতা অর্জনে সময় চেয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রহুল আলম আল মাহবুব বলেন,‘সক্ষমতা অর্জনের আগে আপাতত চলমান ৫ শতাংশ শুল্কই বহাল থাকলে দেশের মোবাইল সংযোজন শিল্পের বাজারে প্রতিযোগিতায় থাকা সম্ভব হবে।’
বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন সদস্য রেজওয়ানুল হক মনে করেন, শুল্ক আরোপ করা হলে মুঠোফোনের চোরাইবাজারকেই উৎসাহিত করা হবে।
তাদের দাবি, যেহেতু দেশের বেশিরভাগ মানুষ মোবাইলেই ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, ফলে নতুন শুল্ক যুক্ত হলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য পূরণ বাধাগ্রস্থ হবে।