ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে মেয়েদের ক্রিকেট মৌসুম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও মাঠ সংকটে আগে হয়ে যাচ্ছে জাতীয় লিগ। সোমবার থেকে কক্সবাজারের দুটি ভেন্যুতে শুরু হবে আটটি বিভাগীয় দলের লড়াই।
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে গত বছর মেয়েদের জাতীয় লিগ হয়েছিল ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে। তবে এবার হবে ওয়ানডে লিগ। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের দুটি মাঠে গড়াবে পুরো আসর। শনিবার পর্যটননগরী কক্সবাজারে পৌঁছেছে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর ক্রিকেটাররা।
মেয়েদের রুটি-রুজির প্রিমিয়ার লিগ পিছিয়ে দিয়ে কেনো জাতীয় লিগ- জানতে চাইলে মাঠ সংকটের কথা জানালেন বিসিবির ওমেন্স উইংয়ের ইনচার্জ নাজমুল আবেদীন ফাহিম। বললেন, প্রিমিয়ার লিগ ছেলেদের প্রিমিয়ার লিগ শেষ হলে আমরা করবো। ঢাকায় মাঠের অপ্রতুলতার কারণেই পেছাতে হয়েছে।
বর্তমানে চলছে ঢাকা দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগের খেলা। সোমবার থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে ছেলেদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। শেষ হবে এপ্রিলের শেষদিকে।
জাতীয় লিগের পারফর্মারদের নিয়ে সামনে মেয়েদের ‘এ’ দল গঠন করা হবে বলেও জানালেন নাজমুল আবেদীন। মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন, ‘আশা করি প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ একটা টুর্নামেন্ট হবে। আমাদের যারা ভালো খেলোয়াড় আছে বর্তমানে এবং যারা এখানে ভালো করবে, হয়ত নতুন কিছু খেলোয়াড় উঠে আসবে। যাদেরকে নিয়ে আমরা ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে পারি। আমরা যেহেতু জাতীয় দলের পাশাপাশি একটা ‘এ’ দলের চিন্তা-ভাবনা করছি, সেটার জন্য এরইমধ্যে কিছু কাজ হয়েছে। আশা করছি ‘এ’ টিমে রাখার মতো কিছু কিছু খেলোয়াড়কে আমরা এখান থেকে খুঁজে পাব।’
পৃষ্ঠপোষকতা জরুরী, বললেন নাজমুল আবেদীন
‘মেয়েদের ক্রিকেটকে যদি আরেকটা লেভেলে নিতে চাই, তাহলে বিনিয়োগ খুব জরুরী। তাদের জন্য আলাদা সুযোগ-সুবিধা তৈরি করা, তাদের জন্য প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা। তাদের জাতীয় দল, ‘এ’ দল বা ছেলেদের মতো হাই-পারফরম্যান্স (এইচপি), বয়সভিত্তিক দল এসবকিছু যদি না করি, তাহলে আমরা অন্যসব দেশের সাথে তাল মেলাতে পারব না। সেজন্য ইনভেস্টমেন্ট করা দরকার। ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে এই ভার একা বহন সম্ভব না। ছেলেদের ক্ষেত্রে বিভিন্নরকম স্পন্সর এগিয়ে আসতে দেখি, আমার মনে হয় সময় এসেছে যারা খেলাধুলায় স্পন্সরশিপে আগ্রহী তাদের মেয়েদের ব্যাপারটাও একটু দেখা।’
‘কারণ মেয়েরা যখন ভালো করে, সারাবিশ্বে তাদের নাম হয়। বাংলাদেশও সেটার অংশীদার, আমরা সবাই সেটার অংশীদার হতে ভালো করার জন্য ভালো সুযোগ-সুবিধা দরকার, ভালো খেলার জন্য কিছু সুবিধাদি দরকার, ট্রেনিংয়ের ফ্যাসিলিটি দরকার। এগুলো করার জন্য পৃষ্ঠপোষকতার বিকল্প নেই। আমার মনে হয় স্পন্সররা যদি এগিয়ে আসেন মেয়েদের ক্রিকেটের ব্যাপারে, তাহলে দারুণ ব্যাপার হবে।’