মেহেরপুরে বাড়ছে ভেড়ার খামার। এতে সেখানের গ্রামীণ আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে বেশি লাভ হওয়ায় উন্নতজাতের ভেড়া পালনে অনেকেই আগ্রহী হয়েছেন ।
ভেড়া পালনে বাড়তি খাবারের প্রয়োজন হয় না। গ্রামের পতিত জমি বা সড়কের আশেপাশে চরিয়ে খাদ্যচাহিদার ৮০ ভাগ পূরণ করা সম্ভব।
জেলায় বর্তমানে ভেড়ার খামারের সংখ্যা প্রায় দেড়’শ। দেশি ভেড়া থেকে যেখানে সর্বোচ্চ ২০-২৫ কেজি মাংস পাওয়া যায়, সেখানে উন্নতজাতের ভেড়া থেকে মাংস আসে ৪০-৫০ কেজি। স্থানীয় খামারিরা বলেন, প্রতিটি ভেড়া থেকে ৪ টি বাচ্চা পাওয়া যায়। ভেড়াগুলো ৪ থেকে ৫ মাস বয়সে বিক্রির উপযোগি হয়। প্রতিটি বাচ্চা ভেড়া ৪ হাজার টাকা বিক্রি করলে মোট আয় হয় ১৬ হাজার টাকা।
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার তারানগর গ্রামের রোকনউদ্দিন ২০০০ সালে ছোট পরিসরে ভেড়ার খামার শুরু করেন। মাত্র তিন বছরে তার খামারে ভেড়ার সংখ্যা বেড়ে দাড়ায় ১’শতে। এখন প্রতি বছর খামার থেকে দুই থেকে আড়াই’শ ভেড়া বিক্রি হচ্ছে তার।

রোকন জানান, ভেড়ার খামার থেকে নিয়মিত আয়ে তার পরিবারে স্বচ্ছলতা এসেছে। খামারের আয় দিয়ে বাড়ি করেছেন এবং খামার দেখাশোনায় ৪ জনকে নিয়োগ করেছেন বলেও জানান এই খামারি। প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর থেকে খামারিদের ভেড়ার খামার তদারকি করা হয়। পালন ছড়িয়ে দিতে প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহ ছাড়াও খামারিদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। মেহেরপুর উপজেলার প্রাণি সম্পদ অফিসার নূর আলম জানান, ভেড়ার খামারগুলো তদারকির পাশাপাশি টিকাদান,কৃমি নিধন ছাড়াও খামারিদের প্রশিক্ষণ দেন তারা।