চট্টগ্রাম থেকে: নতুন বলে মুজিব-উর-রহমানের অফস্পিন খুবই কার্যকরী। টপঅর্ডারে তাই স্বীকৃত সব ব্যাটসম্যানকে খেলিয়ে ঝুঁকি নিতে চায়নি ঢাকা প্লাটুন। তিন নম্বরে নামিয়ে দেয়া হয় শেষের সারির ব্যাটসম্যানকে! যার উইকেট হারালেও ক্ষতির কিছু ছিল না! সেই মেহেদী হাসানের তাণ্ডবেই (২৯ বলে ৫৯) কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে দারুণ জয় পেয়েছে মাশরাফী-তামিমদের দল।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সোমবার দুপুরের ম্যাচে ঢাকার কম মূল্যের উইকেটটিই হয়ে উঠল সবচেয়ে দামি। মেহেদী ২২ গজে যা চেয়েছেন করে দেখিয়েছেন। মুজিবকে তো সামলেছেনই, বেধড়ক পিটিয়েছেন অন্য বোলারদেরও। আসরের তৃতীয় দ্রুততম ফিফটি (২২ বলে) এখন অফস্পিনিং-অলরাউন্ডারের।
বল হাতেও জ্বলে উঠেছিলেন মেহেদী। নতুন বল হাতে নিয়ে শুরুতে সাজঘরে পাঠান কুমিল্লার সৌম্য সরকার ও সাব্বির রহমানকে। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচসেরা হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে জানালেন, দলের মাঝে তার উইকেট ছিল মূল্যহীন।
‘ওদের মুজিব ছিল। মুজিবকে খেলা একটু মুশকিল। আমি ছিলাম ভ্যালুলেস উইকেট (হাসি)। মুজিবকে খেলার জন্য আমাকে পাঠানো হয়। নেমে অফস্পিনার পেয়ে গেছি, সুযোগ নিয়েছি, সফল হয়েছি।’
১৬১ রানের লক্ষ্যে নামা ঢাকা প্রথম ওভারেই হারায় এনামুল হক বিজয়ের উইকেট। তামিম ইকবালের সঙ্গে জুটিতে মেহেদী তোলেন ঝড়। উইকেট কিছুটা মন্থর হলেও ৭ ছক্কা, ২ চারে করে যান ২৯ বলে ৫৯ রান। তাতে সহজ হয়ে যায় জয়ের পথ।
মেহেদী আউট হতেই বদলাতে থাকে চিত্র। মুমিনুল হক ও শহিদ আফ্রিদি ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে গেলে ১ বল হাতে রেখে শেষ হয় ম্যাচ। ৫ উইকেটের জয় পায় ঢাকা। মেহেদীর বিস্ফোরক ইনিংসের পরও জিততে কিছুটা কষ্ট হয়েছে প্লাটুনদের। তাতে দলও বুঝেছে মূল্যহীন উইকেটের কত মূল্য!