রবার্ট লেভান্ডোভস্কির হয়ত আক্ষেপ থাকবে, করোনার জন্য এবার যে বাতিল হয়ে গেছে ব্যালন ডি’অর। ইউরোপ সেরার সোনালী ট্রফিটার বড় দাবিদার ছিলেন তিনি। পোলিশ তারকার সেই অপ্রাপ্তিতে প্রলেপ হয়ে এলো ফিফা বর্ষসেরা। বায়ার্ন মিউনিখকে ট্রেবল জেতানো ফরোয়ার্ডের হাতে উঠেছে ২০২০ সালের ‘দ্য বেস্ট’ ট্রফি।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসিকে টপকে এবারের ‘দ্য বেস্ট ফিফা মেনস প্লেয়ার’ ট্রফি জিতেছেন লেভান্ডোভস্কি। ফ্রান্স ফুটবল থেকে আলাদা হওয়ার পর সবশেষ চার বছরে তিনবার সম্মানজনক পুরস্কারটি ভাগাভাগি করেছেন দুই মহাতারকা এলএম টেন ও সিআর সেভেন। তাদের রাজ্যে হানা নতুন বর্ষসেরা ‘লেভা’র।
করোনার কারণে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে এবারের বর্ষসেরার অনুষ্ঠান হয়েছে ভার্চুয়ালি। তবে ৩২ বছর বয়সী পোলিশ তারকার হাতে সেরার পুরস্কারটি তুলে দিয়েছেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো নিজেই। বৃহস্পতিবার রাতে জুরিখে ক্রীড়া সাংবাদিক রেশমিন চৌধুরী ও ডাচ কিংবদন্তি রুড খুলিতের উপস্থাপনায় হয়েছেন বর্ষসেরার অনুষ্ঠান।
বায়ার্ন মিউনিখের ঐতিহাসিক দ্বিতীয় ট্রেবল জয়ের পেছনে গত মৌসুমে বড় ভূমিকা রেখেছেন লেভান্ডোভস্কি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২০১৯-২০ মৌসুমে করেছেন ৫৫ গোল। যার ৩৪টি বুন্দেসলিগায়, ১৫টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে।

অন্যদিকে সেরা তিনে রোনালদো ও মেসির জায়গা পাওয়া নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ২০০৮ সালের পর ২০১৯-২০ মৌসুমে একটিও শিরোপা জিততে পারেনি মেসির বার্সা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টারে বায়ার্নের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে ৮-২ গোলে। দশ বছর পর গত মৌসুমেই প্রথম ৩০ গোলের মাইলফলক ছুঁতে পারেননি রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা আর্জেন্টাইন মহাতারকা। বলার মধ্যে লা লিগার সর্বোচ্চ গোলের পিচিচি ট্রফিটা পেয়েছেন গত বছরের ‘দ্য বেস্ট’ মেসি।
রোনালদোর জুভেন্টাসও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আহামরি পারফরম্যান্স করেনি গত মৌসুমে। তিনি কেবল সিরি আ জিতেছে তুরিনের ক্লাবটির হয়ে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবারের বর্ষসেরা রোনালদো অবশ্য ছিলেন নিজের মতোই, করেছেন ৩১ গোল। যা ইতালিয়ান লিগটির গতবারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।