আগামী শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ ছবি। এর পরিবেশনায় দায়িত্ব নিয়েছে দেশের শীর্ষ চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও পরিবেশনা সংস্থা জাজ মাল্টিমিডিয়া। মুক্তির আগে এর পরিবেশনার দায়িত্বে থাকা জাজ মাল্টিমিডিয়া ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ ছবির ব্যবসায়িক সাফল্য দেখতে পাচ্ছে!
জাজ কর্ণধার আবদুল আজিজ বলেন, ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ ছবি দেখার পর আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। মনে হয়েছে এই কন্টেন্ট ভালোভাবে রিলিজ হওয়া উচিত। ভালো মতো রিলিজ দিতে পারলে ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে সাফল্য পাবে। এতে লাভ হবে ছবির প্রযোজক, আমি, সর্বোপরি আমাদের দেশের জন্য লাভ হবে।
মুক্তির আগে ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ এর সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় সোমবার সন্ধ্যায় গুলশানের ক্যাডেট কলেজ ক্লাবে। সেখানে প্রযোজক আবদুল আজিজ বলেন, আমি পেশাদার মানুষ। পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে কনটেন্ট ভালো হলে ভালো লাগে। মিস্টার বাংলাদেশ তেমনই আমার ভালো লাগার একটি কন্টেন্ট।
‘মিস্টার বাংলাদেশ’ নির্মিত হয়েছে জঙ্গি সহিংসতা ও ইসলাম ধর্ম মানুষ হত্যাকে সমর্থন করে না সেই গল্প নিয়ে। ২০১৬ সালের পহেলা জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজন বেকারিতে জঙ্গি হামলা হয়েছিল। সেবার কয়েকজন বিদেশী ব্যবসায়ীও মারা গিয়েছিলেন। তারমধ্যে হামলায় নিহত হন ইতালির চিকো কোম্পানির একজন কর্মচারী। যিনি ছিলেন আবদুল আজিজের ব্যবসায়িক পার্টনার ছিলেন। ওই ঘটনার পর বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেয় ইতালির প্রতিষ্ঠানটি।
ওই প্রসঙ্গ টেনে আবদুল আজিজ বলেন, একটা হলি আর্টিজন হামলার কারণে আমি ব্যবসায়িকভাবে অনেক অনেক ক্ষতির মুখে পড়েছি। আমেরিকান অনেক বায়ার আর এদেশে ব্যবসা করতে চান না৷ আমি মনে করে এর প্রতিবাদস্বরূপ একটি ছবি ‘মিস্টার বাংলাদেশ’।
সবশেষে প্রযোজক আবদুল আজিজ জানান, বাংলাদেশ মানেই জঙ্গি না। ইসলাম মানেই জঙ্গি না। ইসলাম শান্তির ধর্ম। মানুষ হত্যাকে ইসলাম সমর্থন করে না। কিভাবে জঙ্গি বানানো হয়, ব্রেন ওয়াশ করা হয় এবং এর প্রতিকার কি সেটা সেটা দেখার জন্য ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ ছবিটি সবার দেখা উচিত। আর মানুষকে দেখানোর জন্য এটা আমার সামাজিক, নাগরিক এবং মানবিক দায়িত্ব।
‘মিস্টার বাংলাদেশ’ পরিচালনা করেছেন আবু আকতারুল ইমান। অভিনয় করেছেন ‘জাগো’ ছবির পরিচালক খিজির হায়াত খান, লাক্স তারকা শানু, শামীম হাসান সরকার, টাইগার রবি, শাহরিয়ার সজীব ফেরদৌস, সুলাইমান সুখন, মেরিয়ান (কানাডিয়ান)।
সংবাদ সম্মেলনে প্রায় প্রত্যেকে উপস্থিত ছিলেন। তারা ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ নিয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। দর্শককে ছবিটি দেখার আগ্রহ আহবান জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকার মধুমিতা, বলাকা, এশিয়া, চিত্রা মহল, সৈনিক ক্লাব, আনন্দ, স্টার সিনেপ্লেক্স, যমুনা ব্লকবাস্টার সহ দেশের ২৮ সিনেমা হলে ইতোমধ্যে ‘মিস্টার বাংলাদেশ’র মুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৬ নভেম্বর থেকে দেশের ৫০ টি থেকে ৭০ টির মতো সিনেমা হলে ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ মুক্তি দেওয়া হবে। তার আগে ১৫ নভেম্বর ঢাকার মধুমিতা সিনেমা হলে প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হবে।