শিল্পী সমিতির প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম খল অভিনেতা মিজু আহমেদ। শুধু শিল্পী সমিতির নেতা হিসেবে নয়, ঢাকাই চলচ্চিত্রে তুখোড় অভিনেতা হিসেবেও তাকে তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণ করলো শিল্পী সমিতি।
মঙ্গলবার ছিলো ঢাকাই চলচ্চিত্রের মিজু আহমেদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। আর এদিন যথাযথ শ্রদ্ধায় তা পালন করে শিল্পী সমিতি। ২০১৭ সালের ২৭ মার্চ ঢাকা থেকে ট্রেনে করে সিনেমার শুটিংয়ের জন্য দিনাজপুরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এই অভিনেতা।
মিজু আহমেদকে স্মরণ করছে শিল্পী চলচ্চিত্রাঙ্গনের মানুষরা। এফডিসিতে শিল্পী সমিতির আয়োজনে মিজু আহমেদ স্মরণে মিলাদ মাহফিলে দেখা যায় চলচ্চিত্রের মানুষেদের। যেখানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা আলমগীর,ইলিয়াস কাঞ্চন,মিশা সওদাগর,জায়েদ খানসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকে।
মিজু আহমেদের প্রকৃত নাম মিজানুর রহমান। শৈশব থেকে থিয়েটারের প্রতি আগ্রহী ছিলেন তিনি। কাজ করেছেন কুষ্টিয়ার স্থানীয় একটি নাট্যদলে। ১৯৭৮ সালে ‘তৃষ্ণা’ ছবির মাধ্যমে সিনেমার অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন মিজু আহমেদ।
কয়েক বছরের মধ্যে ঢালিউডে খলনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান। অসাধারণ অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯২ সালে সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন মিজু আহমেদ। প্রয়াত অভিনেতা রাজীবকে নিয়ে তার গড়া প্রযোজনা সংস্থা ফ্রেন্ডস মুভিজ থেকে কয়েকটি ছবি তৈরি হয়। শুধু তাই নয়, তিনি ছিলেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সভাপতি। মিজু আহমেদ অভিনীত সর্বশেষ মুক্তি প্রাপ্ত ছবি হচ্ছে পাষাণ, যেটি গত শুক্রবার মুক্তি পায়।